করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা: যাত্রীর বাড়তি চাপে কাঠালবাড়ি শিমুলিয়া নৌরুট
মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি, আরিফুর রহমান, ২৯ এপ্রিল ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধে সারাদেশে গনপরিবহন বন্ধ ও সাধারন ছুটি ঘোষণা করা হলেও আজ থেকে ঢাকামুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটে।
ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে শুরু হয়েছে পারাপারের প্রতিযোগিতা। সকাল থেকে রাজধানী মুখী যাত্রীদের ভীড়ে যেন করোনা উৎসবে পরিণত হয় কাঠালবাড়ি ঘাটে। দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সতর্ক থাকলেও পদ্মা নদীর কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে যেন পারপারে প্রতিযোগিতায় লেগেছে হাজার হাজার মানুষের।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত সরেজমিনে কাঠালবাড়ি ঘাটে দেখা যায়, সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও ফেরীযোগে পাড়ি দিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। আইন স্মুঙ্খলাবাহীনির তৎপরতা তেমন নেই ঘাটে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঠালবাড়ি ঘাট সুত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরেই ৪/৫ টি ফেরীতে সীমিত আকারে যাননবাহন পার করা হচ্ছে।এদিকে ঢাকার গার্মেন্টসগুলো খোলার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে বিকল্প ভাবে ভেঙে ভেঙে ঘাটে এসে ফেরীতে করে ঢাকামুখী যাত্রীরা ফেরী পার হচ্ছে। তবে যাত্রীদের সাথে প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী সেবাদানকারী যানবাহন ও পার করা হচ্ছে।
এদিকে আজ সকাল থেকে ঘাটে চলমান ১৭ টি ফেরীর মধ্য ২ টি রোরো, ২ টি ডাম্ব, ২ টি কে ধরন ও ১ টি মধ্যম ফেরীর মাধ্যমে যাত্রী ও যানবাহন পার করানো হচ্ছে।
বরিশাল থেকে ঢাকা গামীযাত্রী শাহআলম জানান, ’খুব কষ্টকরে অনেক টাকা খরচ করে এ পর্যন্ত আসছি। কি করবো? আজ অনেক দিন ধরে বাড়িতে বসা, কোন কাজ নেই। ঢাকা যাই দেহি কোন কাজ পাই কিনা’।
বিআইডব্লিউটিসি কাঠালবাড়ি ঘাটের সহকারি ব্যবস্থাপক সামসুল আরেফিন বলেন, সকাল থেকেই রাজধানীমূখী যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। আজ ৭ টি ফেরী দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করানো হচ্ছে।