এসআই এর বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ, খুনির গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ৩১ মার্চ, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগ এলাকায় এসআই মো. মিজানুর রহমান জাবেদের বিরুদ্ধে স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কলিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ঘাতক খুনির শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবিতে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও ডিসি ও এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নিহতের স্বজন, স্কুল শিক্ষার্থী ও বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
এদিকে ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বজন ও বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় এসব কর্মসূচি করা হয়। এতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় লোকজন ও স্কুল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে শনিবার রাত এগারটায় চট্রগ্রাম থেকে লাশ গ্রামের বাড়ী নোয়াখালী সদরের কাদির হানিফে আসে। এ সময়ে স্বজনদের কান্নায় এলাকায় উত্তোজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ থেকে নিহতের স্বজনরা ও এলাকাবাসী জানান, পুলিশ সদস্য জাবেদ ও নিহত কলি দুজনই নোয়াখালীর বাসিন্দা। জাবেদ সদর উপজেলার বিনোদপুরের বাসিন্দা এবং কলি কাদির হানিফের বাসিন্দা। ২০১৪ সালে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানও রয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের দুই আড়াই বছর পর থেকে জাবেদ অন্যকারো সঙ্গে পরকিয়া জড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে কলিকে প্রায় সময় মারধর করতো। এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক বৈঠকও হয়েছে। স্বামীর পরকীয়া ও ইয়াবাসহ অবৈধ উপার্যনের বিষয়ে স্ত্রী নিষেধ করলে এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
এর জের ধরে গত শুক্রবার দুপুরে চট্রগ্রাম হালি শহরের ভাড়া বাসায় সে ও তার বন্ধু বাদশা মিলে স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে আত্মহত্যা ও সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার করে এবং নিহতের স্বজনদের কাছে খবর পাঠায়, সর্বশেষ গত শুক্রবার ২৫ মার্চ চট্টগ্রামের হালিশহরস্থ ভাড়া বাসায় কলিকে তারা হত্যা করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় হালিশহর থানায় একটি হত্যা মামলা দিয়েছে কলির বাবা আহছান উল্যাহ্। মানবন্ধনে স্বজনরা কলি হত্যার বিচার দাবীতে নানা স্লোগান দেন। এ সময় তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জাবেদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।