আমি ছাগল চুরির ঘটনায় জড়িতনা, ছাত্রলীগ নেতা
মাদারীপুর প্রতিনিধি, আরিফুর রহমান, ০৯ মার্চ, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : মাদারীপুরে প্রাইভেটকারে ছাগল চুরির ঘটনায় জড়িত নন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তুহিন দর্জি। সোমবার রাতে শহরের ইটেরপুল এলাকায় নিজ বাসভবন সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই বিষয়টি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাগল চুরির ঘটনার মামলার বাদী ও অন্য আসামিরাও উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তুহিন দর্জি দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছাগল চুরির ঘটনায় তাকে ফাঁসিয়ে মামলায় আসামি করতে বাদীকে চাপ প্রয়োগ করেছেন।
আসামির তালিকায় তার নাম না দিতে চাইলেও অন্য একটি মহলের কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে। তবে তুহিন দর্জি জানান, অন্য কয়েকজন দুষ্টুমি করে একটি ছাগল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সেই চুরি করা ছাগল মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক করে। পরে বিষয়টি নিয়ে নানা দিক থেকে আপত্তিকর কথাবার্তা ছড়িয়ে পড়ে।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তুহিন দর্জি বলেন, মূলত সম্মানহানি করার জন্যই ষড়যন্ত্র করে এ কাজ করা হয়েছে। যে হাস্যকর মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ছাত্রলীগের হারানো পদ ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ছাগল চুরির মামলার বাদী লোকমান মালোত জানান, মামলায় কাদের আসামি করা হয়েছে তাদের আমি চিনতাম না। আমরা মীমাংসা হয়ে গেছি।মামলাও তুলে নেয়া হবে।’
অন্যদিকে চুরির কথা স্বীকার করেন আটক অন্য চারজন বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তুহিন ভাই জড়িত না। আমরা চারজন রাস্তার পাশ থেকে ছাগলটি চুরি করলেও তুহিন ভাই সেই ছাগল ফেরত দেয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে গেলে সেখানে পুলিশ আমাদের ৫জনকেই আটক করে। আমরা যে ভুল করেছি সেই শাস্তি পেয়েছি। আমরা এ রকম আর কোনো কাজ কখনো করবো না। তবে আমাদের জন্য কেন তুহিন ভাই দোষী হবে।’ তুহিন ভাইয়ের যে সম্মানহানি হওয়ার হয়েছে তবে তার হারানো সহসভাপতি পদ ফিরে যেন পান।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার পখিরা এলাকায় ছাগল চুরির ঘটনা ঘটে।এ সময় একটি প্রাইভেটকার থেকে চুরি হওয়া ছাগল উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তুহিন দর্জি ও তার চার সহযোগী জুবায়ের হাওলাদার, রানা বেপারী, রবিউল ইসলাম ও মাহবুব তালুকদারকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় ছাগল চুরির অভিযোগ এনে ৫ জনের নামে লোকমান মালোত নামে এক কৃষক মামলা দায়ের করেন। পরদিন শুক্রবার বিকেলে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে বিচারক সাইদুর রহমান ৫ জনকেই কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
এদিকে এ ঘটনায় তুহিন দর্জিকে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তুহিন দর্জি শহরের ইটেরপুল এলাকার ও জেলা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির দর্জির ছেলে।