সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলার স্বীকার ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

নোয়াখালী প্রতিনিধি, লুৎফুল হায়দার চৌধুরী, ০৬ জুন, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ভুমি জবর দখলকারী সন্ত্রাসী সুজন, তানজিল ও তার পরিবার কর্তৃক স্কুল শিক্ষক ছেলে ছালা উদ্দিন নোমান (২৭) এর উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে পিতা নোয়াখালী সদর উপজেলার ৫নং বিনোদপুর ইউনিয়নের মোঃ বেল্লাল হোসেন ও তার পরিবারের । লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তার মেয়ে সাহানাজ বেগম।

বক্তব্যে জানানো হয়, সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় অ-সামাজিক কাজে লিপ্ত রয়েছে। তাদের কাজ হলো অন্যের জমি জোরপুর্বক জবরদখল করা, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করা, মাদক সেবন ও বিক্রয় করা। কেউ তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর এমনকি প্রানে হত্যার চেষ্টাকরাসহ নানান নির্যাতনের অসংখ্য নমুনা রয়েছে এলাকায়। তাদের হাতে এলাকার বহু নিরিহ মানুষেরা অমানবিক নির্যাতন সহ হেনেস্তার স্বীকার হয়েছে। তাদের অত্যাচারে পুরো এলাকার মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

এদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রসাশনিক ব্যবস্থা করতেও মানুষ ভয় পায়। এরা বেপরোয়া হয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মানুষের উপর আক্রমন করে। এদের লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই। মহিলারা বিবস্ত্র হয়ে নিজে নিজে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে অন্যদের ফাঁসানোর কৌশল নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের হাত থেকে এলাকাবাসি বাঁচতে চায়। ইতিমধ্যে তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য জেল খেটে এসেছে । কিন্তু তারা এখন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

তিনি জানান, গত ৩০ মে গভীর রাতে আমাদের জায়গা দখল করে জোরপুর্বক সেফটি টাংকির কাজ করতে ছিল। পরদিন ৩১মে সোমবার দুপুর সাড়ে ১১টায় আমার ছেলে বাধা দেয়। তখন তারা আমার ছেলে ছালা উদ্দিন নোমান (২৭) এর উপর সন্ত্রাসী সুজন, তানজিল ও তার পরিবারের তানিয়া, রুনা, রিপু, বালন সংগবদ্ধ ভাবে হামলা চালায়। তারা তাকে হত্যার উদ্যেশে রক্তাক্ত ভাবে আহত করে মৃত ভেবে ফেলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।

ঐসময় সন্ত্রাসীরা মামলা করলে আমাদের হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। আমি সুধারাম থানায় লিখিত অভিযোগ দিই। পুলিশ গঠনাস্থলে আসে। কিন্তু আজ ৫দিন হয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আমরা বাধ্য হয়ে আপনাদের ধারোস্থ হয়েছি। আমরা বর্তমানে নিরাপত্তহীনতায় ভোগছি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বাবলুসহ এলাকাবাসি তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাধারন ও নির্যাতিতদের কাছ থেকে গন সাক্ষর নেয়। কিন্তু এত তারা মোটেও বিচলিত না হয়ে এলাকাবাসিকে বিভিন্ন মামলা ও মাধরের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তাই আমরা ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসি অপরাধিদের বিরদ্ধে সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সাংবাদিকদের মাধ্যমে এমপি, পুলিশ সুপার, সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জসহ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *