প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের খরচ কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন : ওবায়দুল কাদের

ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের মধ্যে মন্ত্রী পরিষদ সদস্যদের খরচ কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান।

পরিবহনে কৃচ্ছ্রসাধন বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা চিন্তা করছি। সব জায়গায় কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। মন্ত্রীদেরও তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ভার্চ্যুয়ালি যোগাযোগ বাড়াতে বলেছেন । অত ছোটাছুটি করার দরকার নেই গাড়ি নিয়ে, এ ব্যাপারে আগেও বলেছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন জ্বালানি, গ্যাস সংকট সারা বিশ্বে চলছে। এটা সবাই জানে। আমরা কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নই। সংকটটা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে কি না, সেটা এ মুহূর্তে বলতে পারব না। তিনি বলেন, জ্বালানি নিয়ে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। তাতে মনে হয়, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব। আমাদের এগুলো মেইনটেইন করতে হবে, কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে।

পরিবহন ভাড়া বাড়বে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘ভাড়া বাড়বে কি না,  তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ কথা এখন বলতে পারবো না। যখন বাড়বে তখন বলতে পারবো।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপিকে চা খাওয়ার দাওয়াতের কথা বলে আসলে সংলাপের দরজা খুলতে চাইছেন কি না জানতে চাইলে জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, এ তো পলিটিক্যাল হিউমার। যেমন বেগম খালেদা জিয়াকে টুপ করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার। তারা (বিএনপি) ঘেরাও করবে, আন্দোলন করবে এটারই জবাবে হিউমারের দিক থেকে বলেছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলেরা ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ালে অসুবিধা কী?’

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়টি যেহেতু এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কারণ সংলাপের বিষয়টি দলের সিদ্ধান্তের ব্যাপার, সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী যখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন, তখন আপনারা জানতে পারবেন। এটা  তো ওপেন সিক্রেট।

সংলাপের সুযোগ থাকছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো এসব নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কাজেই আমি এ সিদ্ধান্তটা আগাম কেন বলব?

নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিএনপি যায়নি, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনে বিএনপির যাওয়াটা তাদের অধিকার। তারা এখন যদি নিজেরা ইচ্ছা করে না যান, সেখানে আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে কি বলব ?

তিনি বলেন, আমরা তাদের যদি বলি তাহলে বলব নির্বাচন কমিশনের সংলাপে সবার যাওয়া উচিত এবং আমরা একটা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাই। সেজন্য বিএনপির মতো একটি বড় দল বাইরে থাকবে সেটি ঠিক নয়। আমরা মনে করি, তারা আসুক। আমরা মনে প্রাণে চাই নির্বাচনটা তাদের সঙ্গে হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *