নীলফামারী স্বেচ্ছাশ্রমে নদীর উপড় বাঁশের সাঁকো নির্মান

নীলফামারী প্রতিনিধি, মো. শাইখুল ইসলাম সাগর, ২৭ জুলাই, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের টেলিনর ঘাটে ধুম নদীর উপড় ব্রীজ না থাকায় দুই পারের ১০ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের চড়ম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিত্যদিন। তাই দুই প্রান্তের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মান করেন। যাতায়াতের অনুপোযোগী হওয়ায় উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি ওই এলাকায়।

মানুষ নদী পারাপার হয় কলা গাছের ভেলা দিয়ে। কলার ভেলা অল্প দিনে পঁচে যায় ও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়তে হয় পথচারীদের। কলার ভেলা একটু ওজন বেশী হলেই নদীতে তলিয়ে যায়, বিপদের সংকটে পরেন যাত্রীগণ। তাই এলাকার মানুষ নিজের স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ চাঁদা করে তুলে এনে ধুম নদীর উপড় ব্রীজ নির্মান করেন।

ধুম নদীর উপড় দিয়ে ১০ গ্রামের মানুষের শহরে যাওয়ার একমাএ যাতায়াতের রাস্তা। নদীতে ব্রীজ না থাকায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যান অনেক কষ্ট করে। স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চড়ম ভোগান্তিতে পারাপার হন। শিক্ষার্থীরা মাঝে মধ্যে বই কলম হারিয়ে ফেলেন নদীতে। কখনো নদীতে পরে গিয়ে কাপড় চোপড় ভিজে যায়, ওই ভাবেই যেতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কৃষকরা কৃষি ফসল নিয়ে শহরে যাইতে না পারায় ন্যায্য মুল্যে থেকে বঞ্চিত হয়। অনেক সময় পণ্য বাজারে নিতে না পারায় ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যায়।

পথচারী সুবল চন্দ্র রায় ও মোসলেম উদ্দিন বলেন, আমাদের জন্ম থেকে দেখি ধুম নদীতে ব্রীজ নেই। তাই এই এলাকা অবহেলিত, উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। কলার ভেলায় মানুষ পারপার হন। আর যদিও বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয় তবুও বর্ষা এলে পানির স্রোতে ভেঙ্গে ভেসে যায়। আমাদের উপজেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। নদীর উপড় ব্রীজ হলেই এলাকাটি পরিবর্তন হয়ে যাবে। রাজনৈতিক নেতা, চেয়ারম্যান, উর্দ্ধতনের কোন ব্যক্তি আমাদের কষ্টের কথা একবারেও ভেবে দেখেন না।

শিক্ষার্থী সুজন মিয়া বলেন, আমরা কলার ভেলায় করে বিদ্যালয়ের পাঠদানে যাই। কলার ভেলা একটু হেলে দোল খেলেই নদীতে কলম খাতা বই পরে যায়, কখনো আবার আমরাও ভেলা থেকে পিছলে পরে গিয়ে নদীতে ভিজে যাই, তখন এ ভাবেই যাইতে হয় বিদ্যালয়ে।

গোলমুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকার মানুষ বাঁশের সাঁকো নির্মান করছেন, এই এলাকার মানুষদের দূর্ভোগ দুর করার জন্য জরুরী প্রয়োজন ধুম নদীর উপরে ব্রীজ দরকার।

জানতে চাইলে জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার কর বলেন, ধুম নদীর ওই ঘাটের কথা জানা নেই আমার, তবে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *