নওগাঁর সাপাহারে স্ত্রী কে শ্বাস রোধ করে হত্যা

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি, সাজু খন্দকার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নওগাঁর সাপাহারে স্ত্রী রুমী (২৫) কে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে বিষয়টি ডাকাতির ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে চতুর স্বামী নজরুল ইসলাম (৩২)। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিদ্যানন্দী বাহাপুর গ্রামে নিশৃংস ঘটনাটি ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন রাত ২টার দিকে উক্ত গ্রামের মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে নজরুল ইসলাম তার বাড়ী থেকে বেরিয়ে গ্রামের অন্যলোকের দরজায় আঘাত করলে গ্রামের কয়েকজন লোক বেরিয়ে আসে এবং তাকে তার মুখে কসটেপ আটানো ও হাত দু’টি পিছনের দিকে গামছা দিয়ে বাধাঁনো অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তারা তার মুখের টেপ ও বাধঁন খুললে সে তাদেরকে বলে যে আমার বাড়ীতে ডাকাত দল প্রবেশ করেছে, তারা আমার ছেলেকে কুপের মধ্যে ফেলে দিতে চায় আপনারা আমার ছেলেকে বাঁচান বলে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
গ্রামের লোকজন তার বাসায় ছুটে এসে দেখতে পায় বিছানায় তার স্ত্রী রুমী অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে ও সন্তান রাফি (২) ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছে। লোকজন তাৎক্ষনিক তাকে ও তার স্বামী নজরুল ইসলামকে সেখান থেকে উদ্ধার করে রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রুমীকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত রুমীর গলায় শ্বাস রোধ করে হত্যাকরার স্পষ্ট চিহৃ রয়েছে।
মৃত গৃহবধু রুমীর স্বামী নজরুল ইসলামের সাথে হাসপাতাল বেডে কথা হলে তিনি জানান, রাত দেড়টার দিকে সে বাড়ীর বাথরুম থেকে বেরোনোর সময় তাকে অপরিচিত ৩জন লোক ঝাপটে ধরে এবং তাকে তার ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে বাইরের দরজার চাবি নেয়।
বাড়ীর দরজায় তালা ছিল তারা কি করে বাসায় প্রবেশ করল এ প্রশ্নের জবাবে সে কিছুই বলতে পারেনা। এর পর ডাকাতরা চাবি দিয়ে বাড়ীর সদর দরজা খুললে আরো ৬জন লোক বাহির থেকে বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাকে তার শয়ন ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গামছা দিয়ে দু’হাত বেধেঁ ফেলে ও মুখে কসটেপ এঁটে দেয়। এরপর আবারো তাকে ঘর থেবে বের করে নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় যায়। এ সময় সে ডাকাত দলের হাত থেকে ফসকে সদর দরজা দিয়ে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের ডাক দেয়। এর মধ্যে ঘরে ডাকাতদল কি করল এবং কি সম্পদ লুট করল তা স্বামী নজরুলের জানা নেই বলে জানান এবং এ পর্যন্ত তার স্ত্রী ও সন্তান ঘুমেই ছিল বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *