থানায় অভিযোগ করেও সুফল পাননি সনজিত

বগুড়া প্রতিনিধি, এম নজরুল ইসলাম, ২৮ মে, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): প্রতারণার শিকার হয়েছেন সনজিত নামের এক সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী। ব্যবসা করতে গিয়ে অহেদুল নামের এক প্রতারকের অংশীদারিত্ব নামের ফাঁদে পা দিয়ে এখন রাস্তায় রাস্তায় বিচারের দাবি নিয়ে ঘুরছেন প্রতারণার শিকার সনজিত।

জীবনের শেষ সম্বল ৭২ লাখ টাকার শোকে সর্বশেষে থানায় অভিযোগ করেও সুফল মেলেনি বলে অভিযোগ তুলেছেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌর শহরের সাহাপাড়া এলাকার মৃত ননী গোপাল সাহার ছেলে সনজিত সাহা (৩৮)। জেলার শেরপুরের শেরুয়া বটতলা এলাকায় এলাকায় ধান-চাল ও খুদের ব্যবসা করতেন তিনি।

একপর্যায়ে ধরমোকাম এলাকার ব্যবসায়ী অহেদুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয়। এরপর ব্যবসা বড় করতে সনজিতকে কোটি টাকার স্বপ্ন দেখায় প্রতারক অহেদুল। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ব্যবসায়ীক অংশীদারিত্বের জন্য আর্থিক লেনদেন করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সনজিত।

এঘটনায় শেরপুর থানায় অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, এমন অভিযোগ করে সনজিত জানান, অহেদুলের সাথে যৌথভাবে অর্থ দিয়ে মহাস্থান মটরস থেকে অশোক লেল্যান্ড কম্পানির ১৬/১৬ মডলের একটি ট্রাক ক্রয় করেছি। অহেদুলের চাতালে মিল করে দিয়েছি আমার টাকায়। কিন্তু কৌশলে প্রতারক অহেদুল সেগুলোর প্রমাণ লোপাট করেছে। সম্প্রতি তৃতীয় ব্যক্তির কাছে সনজিদের টাকায় কেনা ট্রাকটি বিক্রি করতে চান অহেদুল। বিষয়টি বুঝতে পেরে সেখান থেকে সটকে শেরপুর থানায় দারস্থ হন সনজিদ।

শেরপুর খাদ্যশস্য আড়ৎদার সমিতির ৭১ নং সদস্য সংখ্যালঘু সনজিত সাহা বলেন, আমি গাড়িটি বিক্রয় করতে দ্বীমত পোষণ করলে আমাকে ভয়ভীতি এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে অহেদুল। এরপর থেকেই আমি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শেরপুর ভান্ডারে ভয়ে যেতে পারিনা।

অহেদুলের নিকট থেকে আমি প্রায় ৭২ লাখ টাকা পাই, এই মর্মে গাড়ী ক্রয় করার সময় সম্পুর্ণ অগ্রিম টাকা এবং বাকী কিস্তি বাবদ সম্পুর্ণ চেক অহেদুল প্রদান করে। প্রমাণ লোপাট করে এখন ট্রাকটি জোরপূর্বক বিক্রয় করে তার অর্ধেক টাকা বের করে নেয়ার পায়তারা করছে।

এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও আমার সম্পদ উদ্ধার এবং আমাকে সঠিক আইনীসহযোগীতা করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। কার কাছে গেলে আমি এর প্রতিকার পাব। প্রশাসনের কাছে নিজের প্রাণ রক্ষা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ উদ্ধারে সহযোগীতা চেয়েছেন সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী সনজিত সাহা।

ব্যবসায়ী ওহেদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সনজিত আমার কাছে কোন টাকা পাবে না জানিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এপ্রসঙ্গে শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ব্যবসায়ী সনজিত অভিযোগ করার পর বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *