অনভিজ্ঞ নার্সের ভুল ইনজেকশনে কাঞ্চননগর স্কুলের মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ০৮ এপ্রিল, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নার্সের দেওয়া ভুল ইনজেকশনে আলী হোসেন (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর পর রোববার সকালে ক্লিনিক ভাংচুর করেছে রোগীর স্বজনরা। আজ সকালে ঝিনাইদহের উপ-শহরপাড়ায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। এ সময় ক্লিনিকে থাকা অন্য রোগীরা ভয় ও আতংকে পালিয়ে যায়।

ক্ষুদ্ধ রোগীর স্বজনরা ক্লিনিকে ডাক্তারদের চেম্বারসহ গ্লাসের জানালা দরজা ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এ সময় ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা গা ঢাকা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। অপচিকিৎসার শিকার আলী হোসেন ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেনীর ছাত্র ও পৌর এলাকার খাজুরা গ্রামের নাজির উদ্দীনের ছেলে। তার বাবা শহরের মুন্সি মার্কেটের বোতাম ঘরের মালিক।

রোগীর স্বজন ও পশু ডাক্তার জাহিদুর রহমান জানান, গত ৫ এপ্রিল স্কুল ছাত্র আলী হোসেন এ্যপেনডিক্স অপারেশনের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি হয়। সাতক্ষিরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের প্র্যাকটিশনার ডাঃ মোজাম্মেল হক এই অপারেশন করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা ভালই ছিল। রোববার ভোরের দিকে দায়িত্বরত নার্স ইনজেকশন পুশ করার পর সুস্থ থাকা আলী হোসেন অনেকটা ছটফট করতে করতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

তিনি বলেন, ভুল চিকিৎসা ছাড়া এ্যপেনডিক্স অপারেশনে রোগী মৃত্যুর নজীর নেই। রোগেীর আরেক স্বজন সাইদ লস্কার অভিযোগ করেন, ইতিপুর্বে ডাক্তার ও নার্সদের ভুল চিকিসায় হরিণাকুন্ডর মথুরাপুর গ্রামের শাহানাজ ও মোকিমপুর গ্রামের মতলেব মৃত্যুবরণ করেন।

রুবায়েত শিরিন নামে এক নারী অভিযোগ করেন, তার বোনের ছেলেকে নার্স ভুল ইনজেকশন দেওয়ার কারণে মৃত্যু মুখে পতিত হয়। পরে তাকে কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করা হয়। ওই ক্লিনিকে নার্সদের চরম গাফলতি আছে বলেও শিরিনের অভিযোগ।

এ ব্যাপারে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের ম্যানেজার ফরিদুল হুদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ডাক্তার ও নার্সদের চিকিৎসায় কোন ত্রুটি ছিল না। আমরা সাধ্য মতো আলী হোসেনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই ফজলুর রহমান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রোগীর স্বজনরা এখনো কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *