সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের পাকদী এলাকার মো.ইয়াহিয়া হাওলাদার (৬২) নামে এক ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট সমস্যায় ভুগছিলেন। রোববার রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এছাড়াও শহরের থানতলী এলাকার গ্রীস প্রবাসী জুলফিকার ফকির (৬০) নামে এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে সোমবার সকালে নিজ বাড়ীতে মারা যান। তিনি কয়েক দিন থেকে জ্বর সর্দি ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন। করোনা শুরু হওয়ার কিছুদিন পূর্বে তিনি ছুটিতে মাদারীপুর আসেন।
প্রবাসীর মৃত্যু খবর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং মাদারীপুর পৌরসভার মেডিকেল অফিসারকে সাংবাদিকরা অবহিত করলেও সমন্বয়হীনতার কারনে তার নমুনা সংগ্রহ ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ ছাড়া লাশ দাফন করায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে থানতলী এলাকার স্থানীয়রা জানান, একজন লোক করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন এসে পারলো না নমুনা সংগ্রহ করতে। সদর হাসপাতাল থেকে এখানে আসতে সময় লাগে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট। স্বাস্থ্য বিভাগের অবহেলার করানে মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবার ও আমরা এলাকাবাসী চরম আতঙ্গে আছি।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম বলেন, উপসর্গ নিয়ে যারা মারা গেছে তাদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে লাশ দাফন করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার ব্যাপারে সিভিল সার্জনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দায়িত্ব দেয়া আছে। সে হিসেবে নমুনা সংগ্রহ করার কথা। সকালে থানতলী এলাকায় যে মারা গেছে তার নমুনা নেয়া হয়েছে কি না তা আমি সঠিকভাবে বলতে পারবো না। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলতে পারবে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকরাম হোসেন বলেন, সকালে থানতলী এলাকায় যে ব্যক্তি মারা গেছে এটা পৌরসভা এলাকার মধ্যে ছিল। এ ব্যাপারে পৌরসভা থেকে আমাদের কোন তথ্য দেয়া হয়নি। এ জন্য আমরা দেরিতে জানতে পেয়েছি। যখন তথ্য পেয়েছি তখন নমুনা সংগ্রহ করার সময় ছিল না।
মাদারীপুর পৌরসভার মেডিকেল অফিসার ডা. হরষিৎ বিশ্বাস বলেন, পৌর এলাকার থানতলীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার কথা আমি আপনার ( সাংবাদিকদের ) মাধ্যমে শুনলাম। আমরাতো কোন নমুনা সংগ্রহ করতে পারি না। নমুনা সংগ্রহ করবে সদর উপজেলা বা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।