পাঁচবিবি ওসির প্রচেষ্টায় নবজাতক ও প্রসুতি রক্ষা পেল
জয়পুরহাট প্রতিনিধি, আল জাবির, ১৫ এপ্রিল ২০২০ ইং (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনসুর রহমানের একান্ত প্রচেষ্টায় প্রসুতি –মা নিরাপদে নবজাতকের জন্ম দিল। গত সোমবার গভীর রাতে প্রসুতি মায়ের সন্তান ভুমিষ্টের নিমিত্তে (প্যাইন) পেট ব্যথা শুরু হলে তার পরিবারের লোকজন এলাকার প্রতিটি ভ্যান ইজি-বাইক চালকের নিকট যায় প্রসুতিকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য। কিন্ত কোন চালকই প্রসুতিকে হাসপাতালে নিতে রাজি হয়না কারন প্রসুতির ছোটভাই স্বাধীন গত ৯ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ থেকে বাড়ি আসলে থানা পুলিশ হোম কোয়ারাইন্টের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয় তার বাড়ির দড়জায়। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মিরা স্বাধীনের করোনা ভাইরাস নির্ণয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী পাঠায়।
উপজেলার রাধাবাড়ি গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে আরিফা আক্তার শারমিনের মাঝিনা গ্রামের মাসুদ রানার সঙ্গে বছর দুইয়েক পূর্বে বিয়ে হয়। মেয়ের সন্তান প্রসুতির জন্য কয়েক দিন আগে জামাই বাড়ি থেকে বাবা আমিনুল মেয়েকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসে। মেয়ের বাবা বলেন, সোমবার গভীর রাতে মেয়ের এ অবস্থায় যখন কেউ এগিয়ে না এলে অবশেষে থানা পুলিশকে ফোনে ঘটনা জানাই। একটু পরেই আমার বাড়িতে থানার ওসি এসে হাজির হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় ফোনে কথা বলে এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন।
জয়পুরহাট পদ্মা ক্লিনিকে মেয়েকে ভর্তি করালে ভোর রাতে মেয়ের একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। মেয়ের বাবা আমিনুল বলেন, থানার ওসির এমন মহানুভবতার জন্য আমার মেয়ে এতবড় একটা বিপদ থেকে রক্ষা পেল এজন্য আল্লাহ নিকট তাঁর জন্য প্রাণ খুলে প্রার্থনা করি ওসির যেন ভালো হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত দু’টার দিকে একটা ফোন আসে এবং কিছু বলার আগেই শুধু কাঁদে এক পর্যায়ে তাঁকে সান্তনা দিয়ে বলি কি সমস্যা বলেন। কান্না জড়িত কন্ঠেই রাধাবাড়ি এলাকার আমিনুল তাঁর মেয়ের ঘটনা খুলে বলেন। আমি গাড়ি নিয়ে দ্রুত তাঁর বাড়িতে যাই এবং মহিপুর ও জয়পুরহাট হাসপাতালে যোগাযোগ করে এ্যাম্বুলেন্স ডেকে প্রসুতিকে জয়পুরহাট পাঠানোর ব্যবস্থা করি। পর দিন সকালে মেয়ের বাবা ফোনে তাঁর মেয়ের একটা ছেলে সন্তান হওয়ার সুখবর দেয় এবং মা-ছেলে ভালো আছে এটাও জানায়।