নন্দীগ্রামে হাটকড়ই উচ্চ বিদ্যালয়ে জমজমাট অবৈধ কোচিং বাণিজ্য
বগুড়া, নন্দীগ্রাম রিপোর্টার, হেলাল উদ্দিন, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বগুড়ার নন্দীগ্রামে হাটকড়ই উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধ কোচিং বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বন্ধের নির্দেশনা দিলেও তা মানা হচ্ছে না।
২০১২ সালের ২০ জুন কোচিং বন্ধের নীতিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবে না। তবে তারা নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি সাপেক্ষে অন্য স্কুল, কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে দিনে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে নিজ বাসায় পড়াতে পারবেন ।
কিন্তু ২১-০৯-২০১৭ ইং,তারিখে হাটকড়ই উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় স্কুলের শিক্ষকরা কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িত ও ৮০-৯০ জন শিক্ষার্থীকে জোর পূর্বক কোচিং করতে বাধ্য করা হয়েছে । এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষকরা নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন কোচিং বাণিজ্য। স্কুলগুলোতে আলাদাভাবে বিশেষ ক্লাস নেয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকরা তা না করে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিষয় ভিত্তিক ফি-সহ আনুষাঙ্গিক ফি বাবদ প্রতি জন থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায় করা হচ্ছে। আমরা বাধ্য হয়েই কোচিং করতে আসি ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রইচ উদ্দিন অনুপস্থিত থাকায় সহকারি শিক্ষক মানব কুমার মহন্তের সাথে কোচিং চলাকালীন সময়ে কথা বললে কোচিং বাণিজ্যের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগী করার জন্য কোচিং করানো হচ্ছে । এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. একরামুল হক সরকারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।