ঝিনাইদহে ভুয়া ডকুুমেন্ট তৈরি, মিথ্যা মামলা করতে গিয়ে, এ্যাডভোকেটের মহুরী লাচ্চু সহ দু’জন ধরা! একজন জেল হাজতে
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ০৮ মে, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): ভুয়া ডকুুমেন্ট তৈরী করে সোমবার মিথ্যা মামলা করতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন ঝিনাইদহের এক আইনজীবী সহকারী ও তার এক সহযোগী। বিচারকের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি ভুয়া প্রতিপন্ন হওয়ায় মিথ্যা মামলা প্রচেষ্টাকারী বাদী রফিকুল ইসলামকে (প্রতারক) কারাগারে পাঠিয়েছেন। এই মামলায় ঝিনাইদহ জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. আব্দুল মান্নানের আইনজীবী সহকারী (মহুরী) লাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছেন আদালত।
ঝিনাইদহ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ নাসির উদ্দীন এ ঘটনায় নিজে বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমাবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে রফিকুল ইসলাম দন্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় একটি মামলা করতে আসেন। মামলায় আসামী করা হয় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পরানপুর গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে মোঃ নুরুল আলমকে।
বাদী রফিকুল কাঠগড়ায় উঠে বর্ণনা দিতে শুরু করলে আমলী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামানের সন্দেহ হয়। বিজ্ঞ বিচারক এ সময় বিভিন্ন প্রশ্ন করে বাদীর কাছ থেকে কোন সদুত্তর না পেয়ে তাকে খাসকামরায় ডাকেন। খাস কামরায় বাদী রফিকুলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বিজ্ঞ বিচারকের কাছে জানান, ২ নং আসামী মহুরী লাচ্চুর তৈরী করা মিথ্যা ডকুমেন্টের ভিত্তিত্বে তিনি এই মামলা করতে আসেন।
তাছাড়া গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পরানপুর গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে মোঃ নুরুল আলমকে তিনি কখনোই দেখেননি বলেও বিচারককে জানান। মহুরী লাচ্চু তাকে জোর পুর্বক বাদী সাজিয়ে কাঠ গড়ায় তুলে দেয় বলেও রফিকুল জানান।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন চাকরী পাওয়া যুবকদের নাম পরিচয় জোগাড় করে ঝিনাইদহের একটি চক্র ভুয়া ষ্ট্যাম্প তৈরী করে। পরবর্তীতে ওই স্ট্যম্প দিয়ে আদালতে মামলা করা হয়। রফিকুল ও লাচ্চু মহুরী সেই চক্রের হোতা ছিল।
এরকম অনেক আইনজীবীর মহুরীরা এ ধরণের জালিয়াতির সাথে জড়িত যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। মামলা দায়েরের পর থেকেই প্রতারক মহুরী লাচ্চু পালিয়ে গেছে।