দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়’র “শতবর্ষ” পূর্তিতে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা
কুমিল্লা (দেবিদ্বার) প্রতিনিধি, জি,এম মাকছুদুর রহমান, 0৩ মার্চ, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : আজ ৩মার্চ কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানপ্রদীপ খ্যাত শতবর্ষি পান্ডিত্য আর ত্যাজদ্বীপ্তে উদ্ভাসিত বিদ্যাপীঠ, দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়’র প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা।
নানা আয়োজনে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় এ আলোক বর্তিকা থেকে শতবছরে আলোকিত হওয়া দেশ-বিদেশে তথা বিশ্বপরিমন্ডলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো বরেণ্য প্রাণের মহিমাময় মিলন মেলায় আজ একে অপরের কুশল বিনিময়, করমর্দন, কদমবুছি, বুকের হৃদয়কম্পিত স্পর্শ্বে আনন্দঘন পরিবেশে মুখরিত হয়। প্রাক্তনদের স্মৃতিচারণে যা নতুনদের পাথেয় হিসেবে থাকবে। জানান দেয়া হয় বিদ্যাপীঠের শতবছরে প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য অতিতের গৌরবময় ইতিহাস।
গত এক শতকে যারা শিক্ষা, প্রশাসন, রাজনীতি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, আইন, প্রকৌশলী, প্রযুক্তি, ব্যবসা, বানিজ্য ও সমাজসেবা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এক একটি নক্ষত্র এবং আলোক রশ্মী হয়ে সুনাম ও স্ব-স্ব খ্যাতী অর্জন করে চলেছেন, পান্ডিত্য আর ত্যাজদ্বীপ্তে উদ্ভাসিত এক একজন কালপুরুষ। তাদের পরিচয় হয়েছে আজ।
আজ ৩মার্চ শনিবার দিবসটি উদযাপনে সকাল ৮টায় রেজিষ্ট্রেশন ও ক্যাপ বিতরণ, সকাল ৯টায় ‘শতবর্ষ র্যালী’, সকাল ১০টায় সাবেক উপ-মন্ত্রী ও কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য, দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়’ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও শতবর্ষ উদযাপন স্টিয়ারিং কমিটির আহবায়ক এ,এফ,এম, ফখরুল ইসলাম মূন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল (এমপি) এবং কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, সাবেক মন্ত্রী ও এমপি এ,বি,এম গোলাম মোস্তফা সহ অন্যান্য বিশেষ অতিথিদের আসন গ্রহন ও বরণ। সকাল পৌনে ১১টায় স্বাগতিক বক্তব্য প্রদান করেন শতবর্ষ উদযাপন পরিষদ সভাপতি, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ’র সমন্বয় ও সংস্কার সচিব এম,এন,জিয়াউল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমাজসেবা অধিদপ্ত’র পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), অতিরিক্ত সচিব এ,কে,এম খায়রুল আলম, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
এছাড়াও সম্মানীত অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান এবং দেবীদ্বার রেয়াজ উদ্দিন মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষে কৃতিত্বের তালিকায় গভীর জ্ঞান ও নিখুত আদর্শের প্রতিশ্রুতিশীল মানুষ গড়ার কারিগর থেকে দু’জন সাবেক প্রধান শিক্ষক ও কৃতিত্বের সাথে দেশ-বিদেশে সুনাম ও খ্যাতী অর্জনকারী চারজন বরেন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী সহ ৬জনকে স্বর্ণদ্বারা খচিত ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ৫জনকে মরনোত্তর এবং ১জনের জীবদ্বশায় ওই সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদ্বয়ের মধ্যে একজন প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক বাবু বসন্ত কুমার দাস (১৮১৮-১৯৬০ইং) এবং অপর প্রধান শিক্ষক বাবু বসন্ত কুমার দাস’র প্রিয় ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ,কে,এম ফজলুল হোসেন (১৯৬০-১৯৯৬ইং)।
বরেণ্য প্রাক্তন ৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের তুখোর ছাত্র ও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কুমিল্লা’র দেবীদ্বার নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলীর একমাত্র জীবিত সদস্য ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদকে জীবদ্বশায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো ক্যামেষ্ট্রি বিভাগের আমরণ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা, ত্রাণ ও পূনর্বাসন মন্ত্রী, স্বাধীনতার পর প্রথম আইজিপি ও বিশিষ্ট আইনজীবি আব্দুল খালেক, কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল’র সাবেক চেয়ারম্যান, দেবীদ্বার সুজাত আলী সরকারী কলেজ’র প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের পালাটোনা ক্যাম্প প্রধান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন সুজাত আলী সহ সকলকেই স্বর্ণদিয়ে খচিত সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এ ৬টি স্বর্ণের সম্মাননা ক্রেষ্ট স্পন্সর করেন ২৭তম ব্যাচের অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের কৃতি ছাত্র ডাঃ আবদুল বারী ভূঁইয়ার পুত্র একই বিদ্যালয়ের ১৯৭৭ সালের ব্যাচের কৃতিছাত্র আমেরিকা প্রবাসী মোঃ গোলাম ফারুক ভূইয়া। এছাড়াও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারনমূলক বক্তব্য প্রদান, বিদ্যালয়- স্থানীয়- পার্বত্য ও দেশবরেণ্য সঙ্গীত শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ৫ দশক পর্যন্ত প্রতি বছরই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশের হারে প্রথম বিভাগই নয়, ১-২০ মধ্যে থাকা শিক্ষার্থী এবং শতভাগ পাশের মিছিলও ছিল লক্ষনীয়। বিশেষ করে ১৯৩৮ সালে ১০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০জনই প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ায় পুরো ভারতবর্ষে আলোড়নের ঝর তুলে ছিল। এধারা স্বাধীনতার পরেও একাধিকবার কৃতিত্ব বয়ে এনেছে।
উল্লেখ্য ১৯১৬ সালে পুলিশের সাব ইনিস্পেক্টর আলেফ আহমেদ, সাব রেজিষ্টার মোঃ হাবিবুল্লাহ, পুলিশের সাব ইনিস্পেক্টর শিশির চন্দ্র চৌধূরী, পুলিশের সাব ইনিস্পেক্টর আব্দুস সামাদ, কাজী ফারুকী ষ্ট্যাটের নায়েব (লেটার ম্যানেজার) দেবেন্দ্র কুমার বোস, সাব রেজিষ্টার শারফুদ্দীন আহমেদ, কাজী ষ্ট্যাট’র নায়েব বিধূভূষণ দাস, গুনাইঘর ইউনিয়ন বোর্ড’র প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ভূইঁয়া সহ দেবীদ্বারের কিছু শিক্ষানুরাগী এঅঞ্চলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে তৎকালীন কুমিল্লার গঙ্গামন্ডল পরগনার জমিদার দিপ্তীমান ব্যক্তিত্ব ও উজ্বল নৈতিকতার জন্য তৎকালীন ভারতীয় বৃটিশ সরকার কর্তৃক স্যার উপাধীপ্রাপ্ত এবং ১৯২৯ থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত বাংলার স্থানীয় সরকারের কৃষি, শিল্প, সমাজ কল্যাণ ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী তরুণ নবাব স্যার কাজী গোলাম মহিউদ্দিন ফারুকী শোভা মিয়ার সাথে মিলিত হন একটি বিদ্যালয় নির্মানের আবেদন নিয়ে। নবাব স্যার কাজী গোলাম মহিউদ্দিন ফারুকী শোভা মিয়া বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গ্রহন ও সমর্থন করেন। শ্রদ্ধেয় পিতার পবিত্র স্মৃতিকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে বাবা কাজী রেয়াজ উদ্দিন’র নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। একই সাথে প্রস্তাবকারী ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে, গভীর জ্ঞান ও নিখুত আদর্শের প্রতিশ্রুতিশীল প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগদানে তরুন শিক্ষাবিদ বাবু বসন্তকুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওই কমিটির সদস্যদের পরামর্শ দেন।
এ অঞ্চলের মানুষ যখন অজ্ঞতার শ্রোতে বসবাস করছিল। বিত্তবান, সচেতন ও অন্বেষাপাগলরা জ্ঞান অন্বেষায় অন্যান্য এলাকায় ছুটে বেড়াত। ঠিক তখনই এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভীষণ প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধী করে, অজ্ঞ এবং নিরক্ষর জনগনের মধ্যে শিক্ষার আলোর প্রজ্বলনশীখা ছড়িয়ে দিতে এ অঞ্চলের তৎকালীন জমিদার নবাব স্যার কাজী গোলাম মহিউদ্দিন ফারুকী শোভা মিয়া ১৯১৭ সালে এবিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৮ সালের আগ পর্যন্ত এবিদ্যালয়টি ছিল স্ট্যান্ডার্ড সিক্স পর্যন্ত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। বিদ্যালয় নির্মানের জন্য নবাব স্যার কাজী গোলাম মহিউদ্দিন ফারুকী দেবীদ্বার উপজেলা সদরে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহা সড়কের পাশে নতুন বিদ্যালয় নির্মান, আবাসন নির্মান এবং খেলার মাঠ নির্মারের জন্য জমি লিখে দেন। বিদ্যালয় নির্মানে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক বাবু বসন্ত কুমার দাস’র হাতে তুলে দেয়া হয় মাত্র ২৬টাকা। তার পর আরো একটি যুদ্ধ, আর তা হলো,- বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে- গ্রামে গ্রামে সভা-সমাবেশ, ছাত্র সংগ্রহ, ছাত্রদের জায়গীর বা লজিং’র ব্যবস্থা, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণে অর্থ, বাঁশ, কাঠ সহ নানা সামগ্রী সংগ্রহ এবং মানসম্পন্ন শিক্ষক ও কর্মচারি নিয়োগ, সরকারী সাহায্যের জন্য আবেদন সহ আরো কত যে কর্মকান্ড। পরবর্তীতে স্কুল ভবন, ছাত্রাবাস, প্রেক্ষাগৃহ, ব্যায়ামাগার, মুসলিম ছাত্রাবাস, ছাত্রীনিবাস, পাঠাগার, শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রশিক্ষন, মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ ইত্যাদি কর্মকান্ড নিয়ে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ৪৭ বছর নিরলস শ্রমদানে সংগ্রাম করে দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেন।
বিদ্যালয়টির গৌরবময় ঐতিহ্যের কারনে দেবীদ্বার উপজেলা আজ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বাবু বসন্ত কুমার দাস অবসর গ্রহন করেও এলাকাবাসী অনুরোধে চাকুরি এক্সটেনশন করে রেক্টর হিসেবে আরো ৩বছর দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। এরই মধ্যে অর্থাৎ ১৯৬০ সাল থেকে অত্র বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে বি,এ অনার্স ও এম,এ পাশ করার পর এ,কে,এম ফজলুল হোসেন যখন সরকারী সর্বোচ্চ পদে চাকরির করার সুযোগ পেলেন, তখন তার প্রিয় শিক্ষক বাবু বসন্ত কুমার দাস’র নির্দেশ ও অনুরোধে তাকে শিক্ষানবিশ প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। তার পর তিনিও এক আদর্শিক লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত ও গুণগত শিক্ষায় মানুষ গড়ার দায়িত্ব নিয়ে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ৩৬বছর শ্রম দিয়ে অবসর গ্রহন করেন। বিদ্যালয়টি শতবছরে বিভিন্ন সময়ে প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে ১১জন শিক্ষক দায়িত্ব পালন করলেও বাবু বসন্ত কুমার দাস ৪২বছর এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ,কে,এম ফজলুল হোসেন ৩৬ বছর সহ দু’জনেই ৭৮বছর দায়িত্ব পালন করেন। বাকী ৯জন প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেন ২২বছর।
বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর ১৯২০ সালে কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীনে এ বিদ্যালয় থেকে বসন্ত কুমার দাসের প্রথম ব্যাচে কৃতিত্বের সাথে যে ক’জন উজ্বল নক্ষত্র পাশ করেন। তারা হলেন,- গঙ্গাচরণ বীর, নরেন্দ্র চন্দ্র কর্মকার, ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আজিজ ভূঞা, গুনাইঘর গ্রামের মোঃ হায়দার আলী।
এছাড়াও পরবর্তীতে ২/৩ দশকে যারা কৃতিত্বের সাথে দেশ-বিদেশে সুনাম ও খ্যাতী অর্জন করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের তুখোর ছাত্র ও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কুমিল্লা’র দেবীদ্বার নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলীর একমাত্র জীবিত সদস্য ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বায়ো ক্যামেষ্ট্রি বিভাগের আমরণ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার, প্রফেসর এমিরেটাস ডাঃ কফিল উদ্দিন, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা, ত্রাণ ও পূনর্বাসন মন্ত্রী, স্বাধীনতার পর প্রথম আইজিপি ও বিশিষ্ট আইন জীবি আব্দুল খালেক, কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল’র সাবেক চেয়ারম্যান, দেবীদ্বার সুজাত আলী সরকারী কলেজ’র প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের পালাটোনা ক্যাম্প প্রধান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন সুজাত আলী, ইসমত আলী ডিরেক্টর, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আবুল বায়েস, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক ভিসি অধ্যাপক গোলাম মাওলা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম খান, সিলেট বিভাগীয় সাবেক কমিশনার জিয়াউদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, কর্নেল ডাঃ সওকত হোসেন মূন্সী, ইস্পাহানী স্কুল এন্ড কলেজ’র সাবেক অধ্যক্ষ অবসর প্রাপ্ত ল্যা: কর্নেল মোসলেহ উদ্দিন প্রমূখ।
কঠোর পরিশ্রমে আয়োজকরা শতবর্ষ উদযাপনে সকল আনষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলেও প্রাক্তনদের সাথে যোগাযোগ, প্রচারনার পর্বটি ছিল খুবই দূর্বল। প্রাক্তনদের রেজিষ্ট্রেশন ফি এক হাজার টাকা বাধ্যতামূলক করা সহ নানা জটিলতায় প্রাক্তনদের অধিকাংশই শতবর্ষ উদযাপনের মিলনমেলায় অংশগ্রহন থেকে নিজেদের গুটিয়ে রাখারও অভিব্যক্ত করেছেন।