চৌদ্দগ্রাম জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ নিহত
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ০৮ মার্চ, ২০২৫ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুল মালেক (৬৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে শুক্রবার রাত আনুমানিক নয়টায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মির্জা আলী হোসেনের ছেলে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট সার্কেলের এএসপি নিশাত তাবাসসুম। শনিবার বিকেলে তথ্যটি নিশ্চিত করেন চৌদ্দগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুল মালেক গংয়ের সাথে পাশ্ববর্তী বাড়ির কামাল, জামাল, জয়নাল ও জসিম গংদের চলাচলের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে আবদুল মালেক গং চলাচলের জায়গায় বাঁশের বেড়া দেয়। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় শালিশ বৈঠকে উভয়পক্ষের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ঈদের পরে জায়গা মেপে বিরোধ নিঃস্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শুক্রবার রাত আনুমানিক পৌনে নয়টায় কামালগং বেড়া ভাংচুর করছে এমন খবরে আবদুল মালেক সেখানে গিয়ে বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে কামালগং আবদুল মালেককে বেদম মারধর করে। এ ঘটনায় নারীসহ উভয় পক্ষের চারজন আহত হন। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন এসে আবদুল মালেককে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাত ৩টায় আবদুল মালেকের মৃত্যু হয়।
নিহত আবদুল মালেকের ছেলে মাঈন উদ্দিন বলেন, চলাচলের জায়গা নিয়ে কামাল গংয়ের সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ পড়ে বাবা বাড়িতে আসে। আমার চাচাতো ভাইয়ের মাধ্যমে বাবা খবর পেয়ে বেড়া ভাংচুরে বাধা দিতে যায়। সেখানে কামাল, জামাল, জসিম ও জয়নালগং আমার বাবাকে বেদম মারধর করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পরিবারের লোকজন বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মোঃ জসিম বলেন, আমাদের পরিবারের উপর আবদুল মালেকগং শুক্রবার রাতে অতর্কিত হামলা চালায়। প্রতিরোধ করতে গিয়ে নারীসহ আমাদের পক্ষের তিনজন আহত হন। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল থেকে মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা হামলাকারীদের বাড়িঘরে তালা মেরে আক্রমণের চেষ্টা চালায়। তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে’।