প্রধানমন্ত্রীর নিকট সহায়তা দাবী, বাবার অপেক্ষায় নোয়াখালী স্বজনরা
***ঢাকায় নিখোঁজ পিতাকে খুঁজতে গিয়ে বিএনপি জামাতের বাসে পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ কলেজ ছাত্রের মৃত্যু, এক যুগ পরেও সন্ধান মিলেনি***
নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নিখোঁজ পিতা ওয়াজিউল্লাকে খুঁজতে গিয়ে বিএনপি জামাতের দেওয়া বাসে পেট্রোল বোমা অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ওহিদুর রহমান বাবুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এদিকে এক যুগ পরও সন্ধান মিলেনি নিখোঁজ পিতা ওয়াজিউল্লার। ২০১৩ সালের ২৮ এ নভেম্বর নিখোজ পিতাকে বাসে করে খুজতে গিয়ে ঢাকা শাহবাগে বাসে পেট্রোল বোমা অগ্নিদগ্ধ হয়ে দীর্ঘ ৭ দিন মৃত্যুর সাথে পানজা লড়ে ৪ই ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওহিদুর রহমান বাবু। এসময় তার সাথে বাসে আরো ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সন্তানকে হারিয়ে আজও নিখোঁজ ওয়াজিল্লাহকে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ঐ দিনে শাহাবাগে বাসে পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ হওয়া ১৯ জনের মধ্যে বাবু ও একজন। কলেজ পড়ুয়া বাবুকে হারিয়ে মমতাময়ী মা এখনো অগ্নিদগ্ধ বাবুর ছবি বুকে ধরে কষ্ট সইবার চেষ্টা করছেন মা সালেহা বেগম।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আমান উল্ল্যাপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে তার স্বজনরা এখনো প্রিয় মানুষটির ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। পিতা ওয়াজিউল্লা ঢাকা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও গণপূর্ত অধিদফতরের জারিকারক ছিলেন। ঢাকা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সাথে ওয়াজিউল্লার বিরোধ ছিলো। ২০১১ সালের ১৪ জুলাই অপহরণ করা হয় বলে দাবি পরিবারের। বাবাকে খুঁজতে ঢাকায় গিয়ে ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর বাসে পেট্রল বোমা হামলায় নিহত হন ওয়াজিউল্লার ছোট ছেলে ওহিদুর রহমান বাবু। ১০ বছর পরেও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে জানান পরিবারের একমাত্র বড় ছেলে মজিবর রহমান রুবেল। ২০১১ সালের ১৪ জুলাই বিকালে একটি ফোন পেয়ে বংশালের বাসা থেকে বের হন তার বাবা। এরপর আর ফিরে আসেননি।