চৌদ্দগ্রামে তীব্র শীতের জনজীবন বির্পযস্ত
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ১১ জানুয়ারি, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : সারা দেশের ন্যায় কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশার চাদরে ঢাকা সূর্য। দুপুর পর্যন্ত প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহে কাবু হয়ে যাওয়া শ্রমজীবি মানুষ কাজে যেতে পারছে না। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম। কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জবীন যাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থা ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষের দূর্ভোগের অন্ত নেই। “মাঘের শীত বাঘের গায়ে লাগে” এ প্রবাদটি মাঘ মাসের হলেও পৌষ মাসের শুরু থেকেই শীতের ঝাঁকুনী সন্ধ্যার পরপরই কুয়াশার চাদরে ঢেকে পেলে বিভিন্ন এলাকা পরের দিন দুপুর ১২টার দিকে সুর্য্যের দেখা মিলে। তাই সন্ধ্যার আগে ফাকা হয়ে যায় হাঁট, বাজার। এই শীতে সবচেয়ে বেশী কাবু হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ এবং শিশু ও বৃদ্ধসহ ছিন্নমূলের শীতজনীত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই প্রতিদিন চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। বিশেষ করে ঠান্ডা জনিত রোগ ডায়রীয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হৃদরোগ নিয়েই হাসপাতালে আসছে। একমাত্র চৌদ্দগ্রামে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ৫ দিনে কোল্ড ডায়রীয়াই আক্রান্ত হয়ে ৬০-৭০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের নার্স, আয়া তাদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট (শিশু) ডাঃ ফারুক আহম্মেদ জানান তীব্র শীতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত রোগীদে শতকরা আশি ভাগ রোগী শিশু। যারা শীতকালীন ডায়রীয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, মুত্রনালীর প্রদাহ ও অন্যান্য ভাইরাস জনিত জ্বরে আক্রান্ত। ভর্তিকৃত শিশুরা বেশি ভাগই নিম্ন মধ্যবৃত্ত শ্রেণীর। এই সময় শিশুদের ঘন ঘন গরম তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। মাথা ডাকা শীত টুপি ও গায়ে গরম পোশাক ও পায়ে মোজা পড়িয়ে রাখতে হবে। অভিভাবকেরা বাচ্চাদের কোন ভাবেই বাহিরে খোলা খাবার খেতে দেওয়া যাবে না। পাতলা পায়খানা বা সর্দি কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত নিকটস্থ সরকারী হাসপাতালে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য অভিভাবকের প্রতি অনুরোধ করা হইল। যতটা সম্ভব এই সময়ে ঘরে বাহিরে শিশুদের না নেওয়ার জন্য অভিভাবকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাহার উল্ল্যাহ জানান ১ম পর্যায়ে ৭১১৮টি কম্বল পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রয়োজনে চাহিদা মত আরো দেওয়া হবে।