ফরিদগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং’র অভিযোগে আটক-৩
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি, কামরুজ্জামান, ২৭ মার্চ, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং, শ্লীলতাহানী ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. ফয়সাল (২২), মো. মারুফ হোসেন (১৮) ও রবিন (১৮) নামের ৩ জনকে জনতা আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গ্রামীণবাজার এলাকায় গতকাল সকাল রোববার মাদরাসায় যাওয়ার পথে এ ঘটনাটি ঘটেছে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইভটিজিং এর শিকার শিক্ষার্থী রামদাসেরবাগ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় ১০ দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় আরিফ হোসেন, সজিব হোসেনসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই ইউনিয়নের গ্রামীনবাজার এলাকায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইভটিজিংয়ের হন। শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে বখাটেরা প্রথমে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানী করে। এরপর, তাকে পিটিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে দেয়। শিক্ষার্থীর ডাকচিৎকারে প্রত্যক্ষদর্শীরা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও বখাটেদের আটক করে।
খবর পেয়ে, সংশ্লিষ্ট মাদরাসার অধ্যক্ষ মিজানুর রহামন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আতিক খানসহ কয়েকজন শিক্ষক ছুটে যান। তারা শিক্ষার্থী ও বখাটেদের মাদরাসায় নিয়ে যান এবং ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশে খবর পাঠান। কিছুক্ষণের মধ্যে এস.আই. রুবেল ফরায়েজিসহ সঙ্গীয় ফোর্স মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ শোনেন। এ সময়ে, অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকার করলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যান। ভূক্তভোগী ও মাদরাসার শিক্ষার্থী বলেছেন, এসব বখাটেদের উপযুক্ত শাস্তি, শিক্ষার পরিবেশ ও সার্বিক নিরাপত্তা চাই।
অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেছেন, ছাত্রীকে ইভটিজিং, শ্লীলতাহানী ও নির্যাতনের অভিযোগ এর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেয়েছি। শুধু আজ নয়, এর আগেও এমন অভিযোগ শোনা গেছে। ছাত্রীরা নিরাপত্তার ভয়ে সাধারণত প্রকাশ্যে অভিযোগ করে না। তারা আরও বলেন, আবদুর রহিম (৩২) নামের যুবক ফরিদগঞ্জ থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা ও উচ্চবাচ্য করেন। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কাজে বাধা প্রদান, অসদাচরণ করেন ও হুমকি দেন।
এ বিষয়ে, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেছেন, আমরা খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তিনজনকে আটক করেছি। আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।