রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ২২ নভেম্বর, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : একজন হার না মানা নেতার কথা বলছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করা একজন ত্যাগী নেতা রাখিবুল সরদার যার জন্ম হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়নের বিষ্ণুবল্লভ গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই সংগ্রাম করেই বড় হতে হয়েছে। নিজের জীবন সংগ্রামের মাঝেই বড় হলেও সবসময় মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি নিজে না খেয়ে টিফিনের টাকা বাচিয়ে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন।
নিজের ইচ্ছা থেকে মানুষের চাওয়া পাওয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই ত্যাগী নেতার কাছে। স্কুল জীবনে ৮৮/৮৯ সালে অষ্টম শ্রেণীতে, প্রথম শহীদ শেখ রাসেল স্মৃতি ক্রিড়া সংসদ এর অধিনায়ক হিসেবে গেঞ্জিতে লিখে জার্সি বানিয়ে ফুটবল খেলার মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন বিস্তার লাভ করে তারপর তিনি ওই সংগঠনের সভাপতিও ছিলেন। স্কুল জীবনের গন্ডী পাড় হয়ে উলিপুর সরকারী ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের কমিটিতেও নিজেকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে সরকারি উলিপুর ডিগ্রি কলেজে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে তিনি সম্পৃক্ত হয়েছেন।
মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি তার জীবনের দুই তৃতীয়াংশ সময় ব্যয় করেছেন এবং নিজের জায়গা করে নিয়েছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষের হৃদয়ের মাঝে। যিনি ব্যক্তিগত জীবনে একজন সত্যবাদী, একনিষ্ঠ, নিঃস্বার্থবান, পরোপকারী ও আদর্শবান ব্যক্তি। যিনি ছাত্রজীবন থেকে মানুষের জন্য, মানবতার জন্য, সমাজের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আসছেন। কখনো নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সম্পদের জন্য চিন্তা করেননি। তিনি মানুষের জন্য ভাবেন। সকল লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে মানুষের জন্য কিছু করার জন্য সর্বদা নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। সারাজীবন নিজের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে দলের জন্য, মানুষের জন্য ব্যয় করে আসছেন।
তিনি দলের জন্য এবং মানুষের জন্য কিছু করতে পারলেই আনন্দ পান। বর্তমান সমাজে এমন একজন নির্লোভ মানুষ পাওয়া খুব দুষ্কর। তিনি দলের জন্য যেমন একজন একনিষ্ঠ কর্মী, সমাজের জন্যও তিনি একজন নিঃস্বার্থ সেবক। সমাজে বিশৃঙ্খলা দূর হবে, শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে, ঘুষ দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ হবে। করোনা মহামারীর সময় সবাই যখন ঘরবন্দী তিনি তখন সরকারি বাজেট সহ নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী নিজ উদ্যোগে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন ত্রান সামগ্রী ও নগদ অর্থ। সবসময় খোঁজ নিয়েছেন মানুষের। সমাজের মানুষের কোনো সমস্যা হলে ওনাকে জানান ওনি তখন সমাধানের চেষ্টা করেন। ঈদ সহ যেকোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও তিনি ব্যাপক সহযোগীতা করেন। অনেকের মেয়ের বিয়ে, অনেক ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়ার খরচ সহ নানান বিষয়ে তিনি মানুষের পাশে থাকেন। তিনি সবসময় চান মানুষের কাছ থেকে মানুষের সেবা করে যাওয়ার।
আসন্ন উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেণি ইউনিয়ন পরিষদের রানিং চেয়ারম্যান, আবারও আগামী ইউপি নির্বাচনে তাকে চেয়ারম্যান হিসবে পাওয়ার জন্য সবাই ব্যাকুল। ইতোমধ্যেই তিনি দলের নেতাকর্মী বান্ধব প্রার্থী হয়ে উঠেছেন। পাশপাশি জনগণের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বেশ আলোচনায় তিনি। জনগনের দাবী তাকে আবারো চেয়ারম্যান হিসেবে পাওয়া। রাখীবুল সরদারের সংক্ষিপ্ত রাজননৈতিক পরিচয় হলো, শহীদ শেখ রাসেল স্মৃতি ক্রিড়া সংসদ” এর অধিনায়ক হিসেবে গেঞ্জিতে লিখে জার্সি বানিয়ে ফুটবল খেলার মাধ্যমে, পরবর্তীতে সভাপতি, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, উলিপুর উপজেলার ছাত্রলীগের সদস্য, আহ্বায়ক আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ উলিপুর উপজেলা শাখা, নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ উলিপুর উপজেলা শাখা, বর্তমান সহ-সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখা, সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ধামশ্রেণি ইউনিয়ন শাখা, রানিং চেয়ারম্যান ধামশ্রেণি ইউনিয়ন পরিষদ। এছাড়াও তিনি সামাজিক একাধিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সমাজসেবা করে আসছেন বিগত বহুদিন থেকে।
ধামশ্রেণি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বলেন, রাখিবুল সরদার রাজনীতি শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ করে এবং দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে আসছেন। সাধারণ মানুষকেও তিনি দান অনুদান দিয়ে সহযোগীতা করেন। অত্র ইউনিয়নে দলের সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে পুরোপুরি অবদান রাখেন। এক সাক্ষাতে ধামশ্রেণি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাখিবুল সরদার বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে রাজনীতি করি।
রাখিবুল সরদার আরো বলেন, মানবতার মানস কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন দেশের উন্নয়নের জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমিও সেই উন্নয়ন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ধামশ্রেণি ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন গড়ে তোলতে চাই এবং সকল উন্নয়ন কাজ জনগণকে সাথে নিয়ে সমাপ্ত করবো। আমি সবসময়ই দল, দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে নিয়ে ভাবি। আমার সাধ্য অনুযায়ী তাদের খোঁজ খবর নেই। ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করবো। আমার পাশে জনগন আছে থাকবে, বিপদে আপদে আল্লাহ আমাকে যতদিন বেঁচে রাখবে আমি যেন জনগনের সেবা করে যেতে পারি।