শাজাহানপুরে বেতন ভাতার দাবীতে গ্রাম পুলিশের বিক্ষোভ, তোপের মুখে ইউএনও
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি, আবদুল ওহাব, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বগুড়া শাজাহানপুরে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের দীর্ঘ ৫ মাস যাবত বেতন ভাতা, বাৎসরিক উৎসব ভাতা ও টিএবিল বন্ধ থাকায় টানা দিত্বীয় দিনেও বিক্ষোভ করেছে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। এসময় গ্রাম পুলিশের তোপের মুখে পড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান। সোমবার ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক ও উপজেলা পরিষদ চত্তরে বিক্ষোভ করে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। এর আগে একই দাবিতে রবিবার উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনারের পাদদেশের পাশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার পাওনা বেতন-ভাতার দাবিতে উত্তেজিত হয়ে উঠে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। তারা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে অবিলম্বে বেতনভাতা পরিশোধের আবারও দাবী জানায়। এসময় উত্তেজিত গ্রাম পুলিশ সদস্যদের শান্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.কামরুজ্জামান কয়েক দিনের মধ্যে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে তা প্রত্যাক্ষান করে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। এক পর্যায়ে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ গ্রাম পুলিশের রোষানলে ও তোপের মুখে পড়ে ইউএনও। সংবাদ পেয়ে থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। এমন পরিস্থিতিতে অবশেষে ৪ মাসের বেতন- ভাতা পরিশোধের চেকে স্বাক্ষর করার পর পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ সম্পর্কে গ্রাম পুলিশ সংগঠনের শাজাহানপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, বেতনের টাকা উত্তোলনের চেকে স্বাক্ষর করার পর গ্রাম পুলিশ সদস্যরা আন্দোলন ছেড়ে কর্মে যোগ দিয়েছে।
উল্লেখ্য গত ৫ মাস যাবৎ ৯ টি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা বেতন না পাওয়ায় স্বপরিবারে মানবেতর জীবনযাপন করলেও ইউএনও মোঃ কামরুজ্জামান বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেনা কখনই। ফলে তাদের জীবন এবং জীবিকা একেবারে অসহনীয় হয়ে পড়ায় তারা এই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে বলে তারা জানান। শুধু তাই নয়, রবিবার গ্রামপুলিশের বেতনভাতার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ কামরুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, “সে কৈফিয়ত কি আমি সাংবাদিককে দিব ..? এটি শোনার আপনারা কে..? কে আপনাদের এ ক্ষমতা দিয়েছে ? এটি সাংবাদিকের বিষয় নয়। আর এসব বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করা ঠিকনা…।
সার্বিক এ পরিস্থিতির পর অবশেষে তিনি এই বেতন পরিশোধের চেকে স্বাক্ষর করেন। ফলে শাজাহানপুরে অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে জনগন মুক্তি পায়।