বগুড়ায় গৃহবধুকে বেধড়ক লাঠিপেটা
বগুড়া জেলা প্রতিনিধি, আবদুল ওহাব, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বগুড়ার শাজাহানপুরে রুমি আকতার (২০) নামের এক গৃহবধুকে অমানবিকভাবে বেধড়ক লাঠিপেটা করায় সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। আর নারী নির্যাতনের এই গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হলেও আসামীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে বিচারের বাণী যেন অনেকটা নিভৃতে কাঁদছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বৃ-কুষ্টিয়া গ্রামে।
বুধবার ২০ ডিসেম্বর স্থানীয়রা জানান, ১৭ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে বৃ-কুষ্টিয়া গ্রামের মেহেদী হাসান মিন্টুর স্ত্রী রুমি আকতার তার ভাশুরের জন্য ক্ষেতে খাবার নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় তার ভাশুর আনোয়ার হোসেনের সাথে পাশের জমিওয়ালা মৃতঃ আবদুল জব্বারের ছেলে আবদুস সামাদ (৫৫) এর বাক বিতন্ডা চলছে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার ভাশুরকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে উদ্যেত হয়। এসময় ঝগড়া থেকে বিরত থাকতে বললে ঐ লাঠি দিয়েই রুমীকে বেধড়ক মারপিট করে সামাদ পালিয়ে যায়।
ঐ গ্রামের শাহীন আলমের স্ত্রী পপি জানান, অজ্ঞান অবস্থায় রুমীকে কৃষি জমিতে দেখতে পেয়ে তারা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আর হাসাপাতাল সুত্রে জানাগেছে, কোমরে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে অস্বাভাবিক মারপিট করায় রুমীর শ্বাস কষ্ট হচ্ছে এবং অক্সিজেন দিয়ে নিঃশ্বাসের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া অমানবিক এ মারপিটে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে ঐ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামীদের দৌড়াত্ব ও বেপরোয়া মনোভাবে এ এলাকার সকলেই যেন অসহায় হয়ে পড়েছে। বিধায় তিনি নারী নির্যাতনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন। শুধু তাই নয়, দেশের মানবাধিকার সংস্থারগুলোকে এই অমানবিক নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন।
এতদাসত্বেও এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও আসামীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা। আর আসামীদের গ্রেফতারে বিলম্ব হওয়ার কারন জানতে চাইলে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানার এসআই কালাচাঁন ঘোষ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এমতাবস্থায় এই ঘৃন্য নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করার জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন লোকজন।