বগুড়ায় নিভৃতে কাঁদছে কৃষক হত্যা চেষ্টা বিচারের বাণী

আবদুল ওহাব ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি , ২৯ নভেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বগুড়ার শাজাহানপুরে কৃষক নজরুল ইসলামকে হত্যা চেষ্টা ঘটনার ২ মাস অতিবাহিত হলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়নি আজও। রহস্যের বেড়াজালে এ গড়িমসিতে বিচারের বাণী মাথায় নিয়ে নিভৃতে কাঁদছে ঐ কৃষক পরিবার। শুধু তাই নয়, আসামীরা আগাম জামিন নিয়ে ঐ নীরিহ পরিবারকে মামলা তুলে নিতে নানা ধরনের বেপরোয়া হুমকি দিয়ে আসছে বলে পরিবার থেকে জানানো হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানাযায়, উপজেলার লক্ষিকোলা (উত্তর পাড়া) গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে বন্ধুত্বের ছলনায় সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে ছানা মিয়ার। নজরুল একজন ভাল কৃষক ও খড় ব্যাবসায়ী হওয়ায় বন্ধুত্বের ছলনা দিয়ে তার নিকট থেকে দিনে দিনে ২৪ হাজার টাকার খড় বাকী নেয় ছানা মিয়া। এছাড়াও পারিবারিক অসুবিধা জানিয়ে নজরুলের নিকট ২৫ হাজার টাকা ধার চাইলে নজরুল সরল মনে সে টাকাও দেয়। নজরুলের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিনে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বাকি হওয়ায় ছানামিয়া আসল চরিত্র প্রকাশ করে। টাকা পরিশোধ না করার জন্য বন্ধুত্বের ছলনা দিয়ে ৬ অক্টোবর ২০১৭ ইং রাতে নজরুলকে ডেকে নিয়ে যায় ছানামিয়া। একপর্যায়ে বন্ধুত্বের প্রলোভন ও কৌশলে নজরুলকে নিয়ে যায় পাশের ধান ক্ষেতে। সেখানে পুর্ব থেকে ওত পেতে রাখা কয়েকজনে মিলে নজরুলকে হত্যা করার জন্য নির্মমভাবে আঘাত করে। এক পর্যায়ে মৃত্যু হয়েছে ভেবে নজরুলকে দুরের একটি খালের পাড়ে ফেলে রেখে আসে। রাত গভীর হওয়ায় পরিবারটি অনেক খোজাখুজির পর সংবাদ পেয়ে নজরুলকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও দীর্ঘ ২ মাস পরও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হচ্ছেনা। নির্মম ঘটনা ঘটানোর পরও আসামীরা বুক ফুলে এলাকায় ঘুড়ে বেড়ানোয় ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়ছে ঐ কৃষক পরিবার। শুধু তাই নয়, আসামীরা আগাম জামিন নিয়ে ঐ নীরিহ পরিবারকে মামলা তুলে নিতে নানা ধরনের বেপরোয়া হুমকি দিয়ে আসছে বলে পরিবার থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে এত দিনেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার কারন জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাজাহানপুর থানার এসআই মোঃ রুম্মান জানান, মেডিকেল রিপোর্ট হাতে না পাওয়ায় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। আর এভাবে দিনের পর দিন বিচারের বাণী মাথায় নিয়ে নিভৃতে কাঁদছে নীরিহ এই কৃষক পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *