রাজারহাটে গেজেট ভূক্ত না হওয়ায় ৩০ মুক্তিযোদ্ধার মানবেতর জীবন
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ১৫ জুলাই, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : তিন বছরেও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে চুড়ান্তভাবে বাচাইকৃত ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় তারা সরকারী সুযোগ সুবিধা না পেয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন।
জানা গেছে, ২০১৭ইং সনে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাছাই-বাচাই কমিটি রাজারহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার আবেদন যাছাই-বাচাই করে ৩ ০জনকে প্রকৃত (ক তালিকাভূক্ত) করেন। এরপর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালকের নির্দেশে চলতি বছরের ১২মার্চ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক তিন সদস্য বিশিষ্ঠ পূনঃ যাছাই-বাচাই কমিটি অনুমোদন প্রদান করেন।
অনুমোদিত কমিটি গত ৮ জুন পূনঃ যাছাই-বাচাইয়ে পূর্বের বাচাইকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিক সঠিক পাওয়ায় গত ১৪ জুন মুক্তিযোদ্ধা যাছাই-বাচাই কমিটির সদস্য সচিব ও রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উক্ত তালিকা গেজেট ভূক্তির জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে পাঠানো হয়।
চুড়ান্তভাবে বাছাইকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন, আবুল কালাম আজাদ, আক্তার আহসান খন্দকার, মোঃ নাজিমুদ্দিন খন্দকার, নির্মল কুমার রায়, আজিজুল হক, আব্দুল মজিদ সরকার, জয়নাল আবেদিন, আব্দুস ছোবহান, মুজিবুর রহমান, আমজাদ হোসেন, হায়দার আলী, মেহেরুন্নেচ্ছা (বিরঙ্গনা), নিত্য গোপাল রায়, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মহাম্মদ আলী সরদার, খোকা মামুদ, ননী গোপাল সরকার, আব্দুল মান্নান, আব্দুল মান্নান মিয়া, আছিমুদ্দিন, করিমুদ্দিন মন্ডল, আব্দুল মোন্নাফ, আব্দুল হাকিম, খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল হোসাইন সরকার, নুরজামান, আবুবক্কর সিদ্দিক, আব্দুর রশিদ মন্ডল, আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ নুরুল হক।
এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাছাই-বাচাই তালিকা ভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ জানান, দীর্ঘ দিনেও গেজেটভূক্ত না হওয়ায় এই ত্রিশজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছে। তিনি অবিলম্বে তাদের গেজেট ভূক্তির আবেদন জানান।
মুক্তিযোদ্ধা যাছাই-বাচাই কমিটির সভাপতি আব্দুল বাতেন বলেন, রাজারহাট উপজেলায় মোট মুক্তিযোদ্ধা৩৪৫জন, সরকারী ভাবে এর ১০ ভাগ পর্যন্ত বাদপড়া ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাছাই-বাচাইয়ের নির্দেশ রয়েছে। তবে রাজারহাটে যাছাই-বাচাইকালে আমরা ওই ১০ ভাগেরও কম মুক্তিযোদ্ধা অথ্যাৎ ৩০ জন পেয়েছি।