৪৭তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে, ভারত ও রাশিয়ার বীর যোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা
ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ৪৭তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে, ভারত ও রাশিয়ার বীর যোদ্ধা এবং তাদের পত্নীদের সংবর্ধনা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে আয়োজিত এ সংবর্ধনায় ভারতের ২৭ জন বীর যোদ্ধা, তাদের পত্নী ও সন্তানরা এবং রাশিয়ার ৪ জন বীর যোদ্ধা ও তাদের পত্নীরা যোগ দেন। এ ছাড়া বর্তমানে কর্মরত ভারতের ৪ সামরিক অফিসার ও কর্মকর্তা এবং রাশিয়ার কর্মরত ৪ সামরিক অফিসার ও দু’দেশের হ্ইাকমিশন ও দূতাবাসের কর্মকর্তারাও সংবর্ধনায় যোগ দেন। সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সবসময়ই আপনাদের অবদানের কথা স্মরণ করি। আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আপনারা এতে সবরকম সহায়তা ও সমর্থন দিয়েছেন। আমাদের স্বাধীনতার জন্য আপনারা লড়াই করেছেন, আমরা কখনো এ কথা ভুলবো না।
প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বাংলাদেশে আসা বীর যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটি আপনাদের দেশ এবং যে কোন সময় এখানে আপনাদের স্বাগত জানাই। ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতা লে. জেনারেল জয় ভগবান সিং যাদব বলেন, বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারা তাদের জন্য বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তারা শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় এ দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর ব্যাপক অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছেন। এই নিরাপত্তা শুধু আপনার দেশের নয় সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার। জেনারেল ভগবান ১৯৭১ সালের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, আপনারা বর্বরতা ও আতঙ্কের মধ্যে ৯ মাস অতিবাহিত করেছেন। কিন্তু মুক্তি ভাইরা সাহসী প্লাটফর্মসহ এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যাতে আমরা আপনাদের এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সহায়তায় এগিয়ে আসতে পারি।
রুশ প্রতিনিধিদলের নেতা নৌবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের কমোডর জি এস সালকার স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান বিজয় উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের লড়াইতে রাশিয়া আন্তরিকভাবে সমর্থন দিয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের ১২ নম্বর স্পেশাল টাস্ক ফোর্স সহায়তায় এগিয়ে আসে এবং চট্টগ্রাম বন্দর ও আশপাশের এলাকা মাইন মুক্ত করে। আমন্ত্রণ জানানোর জন্য রুশ প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে তিনি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জেনারেল ভগবান কিছু বই, ক্রেস্ট এবং বঙ্গবন্ধুর কিছু দুর্লভ ছবি প্রধানমন্ত্রীকে প্রদান করেন।
