২০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধানের বীজতলা ক্ষতি, দুচিন্তায় কৃষকেরা
মাদারীপুর প্রতিনিধি, আরিফুর রহমান, ২৩ জানুয়ারি, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : দেশের মধ্যাঞ্চলের (প্রস্তাবিত পদ্মা বিভাগ) ৫ জেলায় তীব্র ঠান্ডা ও কুয়াশায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধানের বীজতলা ক্ষতি হয়েছে। এতে ধানের উৎপাদন নিয়ে দুচিন্তায় কৃষকেরা।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীতে চলতি বোরো মৌসুমের জন্য কৃষকেরা বীজতলা তৈরী করেছিল। কিন্তু গত এক মাস ধরে মধ্যাঞ্চলে গড়ে কমপক্ষে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ঘন কুয়াশার কারণে অধিকাংশ বীজতলার চারার পাতার রং হলুদ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পুরো বীজতলার চারা মরে গেছে।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার রামশীল ইউনিয়নের কৃষক সুশান্ত মল্লিক বলেন, আমি ৭ বিঘা জমিতে এবার বোরো ধানের রোপন করব। কিন্তু ধানের যে বীজতলা তৈরী করেছিলাম তা অতি ঠান্ডা ও কুয়াশায় পুরো বীজতলায় নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তো বোরো বীজের চারা কিনে রোপন করলে আমার আরো অনেক টাকা খরচ হবে। অথচ বাজারে ধানের দাম অনেক কম পাই। আর এই নষ্ট চারা রোপন করলে ধানের উৎপাদনও অনেক কম হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। একই ধরনের কথা জানালেন ফরিদপুরের ভাঙ্গার কৃষক আবদুল আলীম, ইউসুফ আলীসহ বেশ কয়েকজন কৃষক।
এদিকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কৃষক প্রেমানন্দ বাড়ৈ বলেন, আমার প্রায় তিন বিঘা জমিতে ধানে রোপনের জন্য বীজতলা করেছিলাম। বীজতলার সব চারা মরে গেছে। গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আবদুল কাদের জানিয়েছেন, আবহাওয়ার উপরে তো আমাদের কারো হাত নেই। তবে বীজতলার ক্ষতির বিষয়টি কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, আমরা সেই পরামর্শ কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছি।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিএএম গফুর বলেন, ঠান্ডা ও কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে চারা রোপনের পরে আশা করছি, ধানের উৎপাদনে তেমন কোন সমস্যা হবে না।