হরিণাকুন্ড সাতব্রীজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা গিলে খাচ্ছে অবৈধ দখলদাররা, কর্তৃপক্ষ নীরব!
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ১৯ মার্চ ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলা সাতব্রীজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান সেচ খাল স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পূর্বে থেকেই। খালের পাড় দখল করে পাকা ঘর নির্মান করে ব্যবসা বানিজ্য চলছে রমরমা।
এছড়াও প্রধান সেচ খাল জুড়ে গড়ে উঠেছে গ্রাম্য হাটবাজার। সেখান থেকে ওইসব প্রভাবশালীরা ব্যাক্তিগত ভাবে খাজনা তুলে আত্মসাত করছেন। বদলে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেচ খালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সাতব্রীজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা গিলে খাচ্ছে অবৈধ দখলদাররা। দখলের রামরাজত্ব চলছে সাতব্রীজে।
ঐ এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী বছরের পর বছর ধরে দখল করে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা। অসহায় হয়ে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ। হরিশপুর গ্রামের ভুষি মাল ব্যবসায়ী আদালত হোসেন, হাসান জানান তিনি অনেক টাকা ব্যয়ে একটি বহুতল ভবন নির্মান করেছেন।
কিন্তু ভবনের সামনের রাস্তায় অবৈধভাবে দোকান নির্মান করায় যানবাহন সহ পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। দীর্ঘদিন ধরে ঐ রাস্তায় সিরাজুল, ইছাহক, সাদু মেম্বর, জালাল উদ্দীন, হাফিজুর রহমান, নিজাম মেম্বর, দিদারুল আলমসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী পাউবোর জায়গা দখল করে পাকা দোকান ঘর নির্মান করেছেন।
ভবনের সামনের অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদসহ সকল অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে এলাকাবাসি দাবী তুলেছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, পাউবো কর্তৃপক্ষের ২জন অসাধু ব্যক্তির যোগসাজসে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সেচ খালের জায়গা দখল করে স্থায়ীভাবে পাকা দোকান ঘর তৈরী করে ভোগ দখল করছেন।
সাতব্রীজে স্থাপনা ভাঙ্গার জন্য শাখা কর্মকর্তা তৎপর থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। শাখা কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিকি সে সময় লিয়াকত, মোজাম, আকুল সহ চার জনের নামে একটি নোটিশ করেন ঘর ভাঙার জন্য। এছাড়াও খালের পাড় দখল হওয়ায় প্রশস্ত রাস্তা সরু রাস্তাতে পরিনত হয়েছে।
সুত্র আরো জানায়, পাউবোর কিছু অসুধু কর্মকর্তার কারনে সাতব্রীজের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সম্ভব হচ্ছে না। এব্যাপারে হরিণাকুন্ড পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন জানান, এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। সাতব্রীজ বাজারে সদ্য নির্মিত পাকা স্থাপনা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা বাস্তবে রুপ দেওয়া হবে।
এছাড়াও সাতব্রীজসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সেচ খালের ভিতর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য খুব শিগরই অভিযান চালানো হবে। কেউ আইনকে উপেক্ষা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।