সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে চালকদের নির্দিষ্ট দূরত্বে বিকল্প চালক, বিশ্রামাগারের নির্দেশ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা, ২৫ জুন ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : হাইওয়েতে একটানা সর্বোচ্চ ৫ ঘন্টা গাড়ী চালানোর বিধানের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অনাকাঙ্খিত সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে চালকদের (ড্রাইভার) জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে বিকল্প চালক, বিশ্রামাগার ও সার্ভিস সেন্টারের ব্যবস্থারও নির্দেশ দেন। মন্ত্রী পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি নিয়ে আলোচনায় রাস্তা পারাপার বন্ধ ও সিগনালিং সিস্টেম কার্যকর করার নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম বলেন, সভার শুরুতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে ড্রাইভার ও হেলপারদের প্রশিক্ষণ এবং দূরের যাত্রায় বিকল্প ড্রাইভারের ব্যবস্থাসহ কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী পথচারীদের জন্য জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবহার এবং চালক ও যাত্রীর জন্য সিট বেল্ট বাধা বাধ্যতামূলক করা এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য ৩ জন মন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্বরাষ্ট্র, সড়ক পরিবহন ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন এবং তারা সময়ে সময়ে বৈঠক করবেন।
মন্ত্রিসভা ২০১৮ সালের ১০ জুন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ৭ম এশিয়া কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া এবং এর মাধ্যমে দেশের জন্য এ ধরনের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন করায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানায়। মন্ত্রিপরিষদ আজ ‘ন্যাশনাল পারফরমেন্স ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অ্যাক্ট, ২০১৮’ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এই আইনের লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় ও বৈদেশিক বাজারের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য তাদের দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধির উন্নয়নে সহায়তা করা। এই আইনের আওতায় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় ও বৈদেশিক বাজারের জন্য দক্ষ জনশক্তির উন্নয়নে একটি জাতীয় কৌশল ও নীতিমালা প্রণয়ন করবে। এছাড়া কর্তৃপক্ষ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য কারিকুলাম ও প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল তৈরি এবং তা বাস্তবায়নে সমন্বয়, মনিটরিং ও মূল্যায়ন করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার মনোনীত একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য নিয়ে এই কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নির্বাহী কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন। চেয়ারপার্সন হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কর্তৃপক্ষের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। এতে ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন অর্থমন্ত্রী এবং বাণিজ্য, জনপ্রশাসন, শিক্ষা এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সদস্য হিসেবে থাকবেন। মন্ত্রিপরিষদ রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সার উৎপাদন, আমদানি ও ব্যবসার কারণে কঠিন শাস্তির বিধান রেখে ‘সার ব্যবস্থাপনা (সংশোধিত) আইন, ২০১৮’-এরও সম্মতি দিয়েছে। নতুন এই আইন অনুযায়ী কৃষি সচিবকে চেয়ারম্যান ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিকে সদস্য করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট ‘ন্যাশনাল ফার্টিলাইজার স্ট্যান্ডারডাইজেশন কমিটি’ গঠন করা হবে। কমিটি সারের গুণগতমানের প্রতি দৃষ্টি রাখবে। নতুন আইনে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সার উৎপাদন, আমদানি, ব্যবসা ও সার মজুদের কারণে দুই বছরের শাস্তি ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধানের কথা বলা হয়েছে। বর্তমান আইনে যা ৬ মাসের কারাদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।