সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূংফুল হায়দার চৌধুরী, ১০ এপ্রিল, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.মতিউর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও করোনা ফোকাল পারসন ডা. নির্ণয় পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, গতকাল (৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ডা. মো.মতিউর রহমানের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজের করোন ট্রেস্ট ল্যাবে পাঠানো হয়। এরপর শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ওনার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়াও সেনবাগ উপজেলায় গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়।
করোনা সংকট শুরু থেকেই তিনি সেনবাগ উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কাজের কারণে তিনি সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছেন। অপরদিকে, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালীতে নতুন করে ৯২জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও খবরঃ-
**নোয়াখালী সদরে অপহৃত রাসেলকে অপহরনের ১ দিন পর উদ্ধার ও অপহরণকারী হাবিবুর রহমান আটক**
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূংফুল হায়দার চৌধুরী, ১০ এপ্রিল, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নে অপহরনের ১ দিন পর অপহৃত রাসেলকে উদ্ধার করে এবং অপহরনকারী হাবিবুর রহমানকে আটক করেছে সুধারাম থানা পুলিশ ।
জানা যায়, কাদির হানিফ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের হাজী শাহাজানের বাড়ির মৃত মোঃ নুর ইসলামের ছেলে মোঃ রাসেল (২৬ ) প্রতিদিনের ন্যায় নিজ কাজে সকাল ৬ টায় নিজের মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সে না আসায় তার স্ত্রী তার ব্যবহ্রত মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন দেয়। ফোনে কল যায় কিন্ত ফোন রিসিভ না করাই তার স্ত্রী রিমা সুলতানা চিন্তিত হয়ে খোঁজ খবর নিতে চেষ্টা করেন।
পরবর্তীতে বেগমগজ্ঞ উপজেলার ছয়ানির আবুল কাশেমের পুত্র হাবিবুর রহমানের সহিত রাসেল রয়েছে শুনে তার নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে কল করলে সে এলোমেলো কথা বলে। একই দিন সুধারাম মডেল থানায় এসে একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন। যার নং ৩৪৭ তারিখ ০৭/০৪/২০২১ । পরদিন দুপুর ২ টায় হাবিবুর রহমান ও তার অজ্ঞাত ৫/৬ জন রাসেলের বাড়িতে গিয়ে বলেন তার সন্ধান তারা জানে। তাদের আচরণ সন্দেহ হলে প্রতিবেশীরা ধাওয়া করে হাবিবুর রহমানকে ধরে ফেলে এবং বাকীরা পালিয়ে যায়।
হাবিবুর রহমানকে গনধোলাই দিলে তার থেকে কথা বের হয়। রাসেলকে তারা অপহরণ করে আটকিয়ে রেখেছে। খবর পেয়ে মাদকদ্রব অধিদপ্তরের লোক গিয়ে তাকে তল্লাসি করলে তার নিকট ৫০/৬০ পিজ ইয়াবা টেবলেট পাওয়া যায়। পরে সুধারাম পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবিবুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে তার তথ্য মতে রাসেলকে এবং তার মোটর সাইকেল হোয়াইট হলের পাশে একটি বিল্ডিং থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এব্যাপারে অপহ্রত রাসেলের স্ত্রী রিমা সুলতানা বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। যার নং ১৪, তারিখ ০৯/০৪/২০১৪খ্রিঃ।