সাতক্ষীরা দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে ॥ চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি, হেলাল উদ্দীন, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে সাতক্ষীরার সকল রুটে দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে কোন রুটে যাত্রিবাহী পরিবহন চলাচল করেনি। তবে সকালে ঢাকা থেকে কিছু পরিবহন সাতক্ষীরায় এসে পৌছায়। বিআরটিসির খুলনাগামী থেমে থেমে কিছু বাস চলাচল করছে। সাতক্ষীরার প্রায় সব রুটে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে। তবে তার পরিমান বেশ কম।
পরিবহন ধর্মঘটের কারনে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানায়, প্রতিদিন প্রায় এক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক ভোমরা বন্দরের মামলাল পরিবহন করে থাকে। কিন্তু নতুন পরিবহন আইন কার্যকরের পর থেকে তা কমে দুই’শ তে নেমে এসেছে। বিধায় আমদারি রপ্তানিকৃত মালামাল পরিবহনে বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে।
এদিকে, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে পথচারিরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন যাত্রীরা। তারা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নছিমন, করিমন ও ইজিবাইক যোগে গন্তব্য স্থলে পৌছানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে হঠ্যাৎ করেই সাতক্ষীরার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন।
বাসচালকসহ মটর শ্রমিক নেতারা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে নতুন আইনে চালকদের মৃত্যুদ্বন্ড এবং আহত হলে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আমাদের এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তারা আরো জানান, একজন চালকের পক্ষে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দেয়া আদৌ সম্ভব নয়। কারণ একজন চালকের বেতন সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এ কারণেই নতুন পরিবহন আইন সংশোধনের পর এটি বাস্তবায়নের জন্য তারা জোর দাবী জানান। আর তা না হলে তারা বাস চালাবেন না বলে জানান।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ জানান, নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে শ্রমিকরা বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। তারা চান, আগে এটি সংশোধন করা হোক। এরপর এটি বাস্তবায়ন করা হোক। তিনি আরো জানান, শ্রমিকরা বাস চালানো বন্ধ করে দিলে এতে মালিক পক্ষের তো কিছুই করার থাকেনা।