শৈলকুপার বড় গাবলা গ্রামের একাধিক ধর্ষনের আসামীর হুমকিতে ধর্ষিতার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ০২ জুলাই, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড় গাবলা গ্রামের একাধিক নারী ধর্ষক হাফিজ উদ্দিনের হুমকিতে ধর্ষিতার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। জানা যায়, গাবলা গ্রামের বিলাত আলীর ছেলে হাফিজ উদ্দিন একই গ্রামের প্রতিবেশী স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষার্থী পাশ্ববর্তী হাফিজের বাড়িতে গেলে সু-কৌশলে ডেকে ঘরের ভিতর নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত, পা বেধে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এছাড়াও একাধিক বার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষক এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না ধর্ষিতার পরিবার। ধর্ষিতার মাতা তার মেয়েকে ইতিপূর্বে হরিনাকুন্ডু উপজেলার একটি গ্রামে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে ধর্ষক হাফিজ মেয়েটির স্বামীর মোবাইলে তার ধর্ষনের বর্ননা দেয় এবং ঘর সংসার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি তার পিতার বাড়িতে চলে আসে। পিতার বাড়িতে আসার পরও রক্ষা পায়না মেয়েটি।
সর্বশেষ গত ৬ মে সন্ধায় তাকে একা পেয়ে পূনরায় ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মাতা নিরুপায় হয়ে গত ১৬ মে শৈলকুপা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এ ঘটনার পর থেকে ধর্ষক ও তার পরিবারের লোকজন ধর্ষিতাদের মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন।
ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষকের এক আত্মীয় পরিচয়দানকারী পুলিশ বিভাগে কর্মরত এস আই নুরুল করিম বিভিন্ন ভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে। যিনি বর্তমানে ঢাকা মহানগরের রমনা থানায় কর্মরত আছে বলে জানা গেছে। ফলে ধর্ষিতার অসহায় পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। ধর্ষিতার পরিবার তাদের নিরাপত্তা চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।