রাজারহাটে নতুন করে করোনা আক্রান্ত আবারো ১জন, মোট ৭
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ১০ জুন, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : রাজারহাটের উমরমজিদ ইউনিয়নের রাজমাল্লীহাট, দানানগর ঘুমারু ভীমশীতলা গ্রামের মৃতঃ মকবুল হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ আলীজন বেগম (৫৮) কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত। এ নিয়ে রাজারহাট উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭। যার মধ্যে ৬ জনই সুস্থ্য হয়ে ঘরে ফিরে গেছে।
জানা গেছে, মোছাঃ আলীজন বেগম গত ১৬ দিন আগে গাজীপুরের কোনাবাড়ি হতে ট্রাকযোগে নিজ গ্রামে আসেন। তিনি কোনাবাড়িতে সবজি আরত হতে সবজি টুকিয়ে তা বিক্রি করতেন। করোনায় আক্রান্ত আলীজনের শরীরে কোন প্রকার লক্ষন প্রকাশ পায়নি। তিনি লক্ষন ছাড়াই করোনা পজিটিভ।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন আক্রান্ত মহিলা অত্র এলাকার প্রত্যেকটি বাড়িতে অবাধে বিচরন করেছে এবং একই গ্রামের মৃতঃ খইমুদ্দির পুত্র কফিল উদ্দীনের ৮ মাস বয়সের নাতিকে কোলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন কফিল উদ্দীন। তার স্ত্রীও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বলে তিনি জানান। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আজ বুধবার (১০ জুন) দুপুর ২টার সময় আক্রান্তের বাড়িতে রাজারহাট উপজেলার ভূমি অফিসার মোছাঃ আকলিমা বেগম, রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাঃ রাজু সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ শাহীনুর রহমান সরদার, উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আঃ লতিফ সরকার এবং দৈনিক জনকথা পত্রিকার সম্পাদক মোঃ রোস্তম আলী সহ অন্যান্য সাংবাদিকগণ এর উপস্থিতিতে তাদের আশ্বস্ত করেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা ভূমি অফিসার মোছাঃ আকলিমা বেগম তিনি জানান, আমরা উপস্থিত থেকে রোগীকে সকল দিক নির্দেশনা প্রদানসহ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে তার এবং তার পাশের একটি দরিদ্র পরিবারের মোট ১৪ জন সদস্যের খাবার এবং ঔষধের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তাকে পারিবারিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তার নিয়মিত খোঁজ খবর রাখবে উপজেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাঃ রাজু সরকার বলেন, আমরা ঐ গ্রামের মোট ৭ টি পরিবারকে প্রশাসনিকভাবে লকডাউন ঘোষনা করেছি। নিয়মিত তাদের তদারকি করা হবে।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোহাঃ শাহীনুর রহমান সরদার তিনি জানান, কেউ লক্ষণ সহ অথবা লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও অনেকে করোনা পজিটিভ হতে পারে। আমরা আবার ৪ দিন পর নমুনা সংগ্রহ করব এবং আশেপাশে যারা তার সংস্পর্শে এসেছে তাদের সকলের নমুনা সংগ্রহ করব। আমরা ঐ পরিবারের সুরক্ষার জন্য ক্লোটেক, স্যাভলন, মাস্ক প্রদান করেছি এবং কেউ অসুস্থ হলে ঔষধ সরবরাহ করা হবে।