রাজারহাটে কর্মজীবি মানুষের বাড়ি ফেরা বন্ধ না হওয়ায় করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ছে
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ১৭ এপ্রিল ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নারায়নগঞ্জ সহ দেশের অতিমাত্রায় করোনা ভাইরাস সংক্রমিত এলাকা থেকে রাজারহাট ও আশেপাশের উপজেলা গুলোতে শ্রমজীবি মানুষের প্রবেশ বন্ধ না হওয়ায় করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ছে।
জানা গেছে, রাজারহাটের পশ্চিম সীমান্তে ও লালমনিরহাট জেলা সদরের দক্ষিণ সীমান্তভাগে তিস্তা বাসষ্ট্যান্ড। অবস্থানগত ভাবে লালমনির হাট জেলা শহরে পড়লেও এই সড়কে রাজারহাটের ভিতর দিয়ে দক্ষিণে উলিপুর ও চিলমারী উপজেলা এবং পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলা সদর। রাজারহাট-তিস্তা সড়ক পথে রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, কুড়িগ্রাম সদর সহ অন্যান্য তিনটি উপজেলারও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো।
এছাড়া তিস্তা বাসষ্ট্যান্ডের এককিলোমিটার পশ্চিমে তিস্তা নদীর উপর দিয়ে নদী পথেও রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ও নাজিমখাঁন ইউনিয়ন এবং উলিপুর ও চিলমারী উপজেলায় যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই অঞ্চলের কর্মজীবি মানুষ যারা নারায়নগঞ্জ, ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন, পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন দলবেঁধে তারা বাড়িতে ফিরছেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে সরকারী নির্দেশে সরকারী,বেসরকারী অফিস প্রতিষ্ঠান, এনজিও, গার্মেন্টস বন্ধ ঘোষনার পর থেকে পর্যায়ক্রমে শুরু হয়েছে বাড়িতে ফেরা। এমনকি বর্তমানে ট্রেন ও বাস বন্ধ থাকলেও তাদের বাড়ি ফেরা বন্ধ হয়নি। রিজার্ভ বাস, পণ্যবাহি ট্রাক, পিকআপভ্যান সহ সিএনজি ও অ্সায় রিক্সায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে তারা পৌঁছে যাচ্ছেন বাড়িতে। অনেক ক্ষেত্রে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে পন্যের মতো করেও তাদের গন্তব্য স্থলে পৌঁছানো হচ্ছে।
বিভিন্ন চেকপোষ্ট গুলোতে কর্তব্যরতদের ম্যানেজ করে কিংবা তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পৌঁছানো হচ্ছে মানুষ। এতে করে রাজারহাট সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা গুলোতে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুকি বাড়ছে। এখন পর্যন্ত যাদের সন্দেহ জনকভাবে করোনা সংক্রমনের আশংকায় নমূনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের সকলেই নারায়নগঞ্জ ও ঢাকা ফেরত কর্মজীবি মানুষ।
উল্লেখ্য করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে রোববার কুড়িগ্রাম শহরের খলিলগঞ্জ এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে ৭টি বাসে করে ফরিদপুরের আলতুখান জুটমিল থেকে আসা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের ২০৯ জনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের নাম ঠিকানা নিয়ে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার জানান, থানার তালিকা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ঢাকা-নারায়নগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাড়ি ফেরত পাঁচ শতাধিক শ্রমিককে বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শাহিনুর রহমান সরদার জানান, ইতোমধ্যে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ থেকে আগত ১০ জনের করোনা ভাইরাস নমূনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।