রাজারহাটের হাট-বাজার গুলোতে করোনা সংক্রমন বিধি নিষেধ মেনে চলছে না কেউ
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) জেলা প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ১০ মে ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : রাজারহাটে করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারী নির্দেশনা মানছে না কেউ । সন্ধ্যার পর থেকে হাট বাজার গুলো বন্ধ থাকলেও সারাদিন চলছে জনসমাগম। উদ্দেশ্যহীন ভাবেও হাটবাজারে ঘোরাফেরা করা মানুষের অভাব নেই।
জানা গেছে, মাসাধিককাল পূর্বে করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় উপজেলা প্রশাসন রাজারহাট উপজেলার খাদ্য-সামগ্রী, মাছ-মাংস, কাঁচামাল ও ওষুধের দোকান ব্যতিরিকে সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করেন। এসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও রাজারহাট থানা পুলিশ নির্লসভাবে কাজ করছেন। তারপরও এখন কাজ হচ্ছে না।
উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের হাট বাজার গুলোতে দিন-রাত অভিনব কৌশলে চলছে বেচাকেনা ও মানুষের আড্ডা। কিছুকিছু ব্যবসায়ী তাদের কর্মচারীদের রাস্তার ধারে প্রহরা রেখে ব্যবসা করছেন। আবার পুলিশ বা প্রশাসনের গাড়ির শব্দ পেলেই প্রহরীর সংকেতে তড়িঘড়ি দোকানের সার্টার নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। শনিবার রাজারহাট বাজারের স্টেশন রোড, কলেজ রোড ও হাসপাতাল রোড সহ বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে ব্যাপক জনসমাগম।
রাজারহাট ইউনিয়নের হরিশপুর তালুক মৌজার ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাবু জানান, আমার এলাকার অনেক হোটেল চায়ের দোকানে এখন পিছন দরজা দিয়ে গ্রাহকদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজমাল্লীর হাটের কলেজ ছাত্র মাসুদ রানা জানান, ঢাকা-নারায়নগঞ্জ ফেরত অনেকে অবাধে চলাফেরা ও হোটেল চায়ের দোকানে দীর্ঘ সময় আড্ডাবাজির কারনে আমাদের এলাকায় করোনার ঝুঁকি বাড়ছে।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার জানান, শুধু রাজারহাট বাজার নয়, প্রায়ই বাজারে ভিড়। তবে পুলিশ শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবে বলে জানান। রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ যোবায়ের হোসেন জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশকে নিয়ে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।