রাজারহাটকে নেতৃত্ব শুন্য করতে এবারও সোহরাওয়ার্দী পরিবার উপেক্ষিত
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ০১ জুন, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট কে নেতৃত্ব শুন্য করতে এবারও সোহরাওয়ার্দী পরিবার কে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মরহুম আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন তা উপজেলাবাসী আজও মনে রেখেছে। তিনি ছিলেন গন পরিষদের সদস্য, নেতৃত্ব দিয়েছেন মহান মুক্তিযুদ্ধ কে।
আজ যারা আওয়ামীলীগের কর্তাধর্তা ভাবেন ৭৫ পরবর্তী সময়ে এদের অস্তিত্বই ছিলো না। ৭৫ পরবর্তী সময় আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতা কর্মীর জন্য ছিলো অগ্নি পরিক্ষা। মরহুম আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী শুধু রাজারহাটেই নয় বৃহত্তম পরিসরে ৭৫পরবর্তী সময়ে রংপুরে তার ঠিকাদার পাড়ার বাড়ি টি কে বানিয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের জন্য সার্কিট হাউস।
ঢাকা থেকে আওয়ামীলীগের যে নেতাই উত্তরবঙ্গ সফরে আসতো তারা মরহুম আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর রংপুরের ঠিকাদার পাড়ার বাড়িতে থেকে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করতো। এমনকি মরহুম আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর রাজারহাটে বাড়িতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এসেছিলেন। এমন কৃতিত্ব সমগ্র কুড়িগ্রাম জেলার আর কোন নেতার নেই। তবুও আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর পরিবারকে নেতৃত্বশুন্য করতে গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের কতিপয় আওয়ামীলীগ নেতা।
অথচ আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়ে দলের হাল ধরেন আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর দ্বিতীয় ছেলে আসিফ সোহরাওয়ার্দী রাজন। দীর্ঘ ১২বছর বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এরকম বৈরী পরিবেশেও দক্ষহাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে। এমনকি রাজারহাট থেকে মিছিল সহ পায়ে হেটে কুড়িগ্রামের শাপলা চত্বরে দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে আসিফ সোহরাওয়ার্দী রাজনের। তবুও নাকি আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর পরিবার কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সদ্য নবগঠিত কমিটি থেকে বঞ্চিত।
বড় ছেলে জাভিদ সোহরাওয়ার্দী অপু ছিলেন রাশিয়া আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যে রাশিয়া বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। ছোট ছেলে জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী যিনি রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সহ রংপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী ৯০দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রংপুর সহ উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াতের শাসন আমলে রংপুর জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কে সাথে নিয়ে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে দলকে সহযোগীতা করে গেছেন।তবুও আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর পরিবার কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সদ্য নবগঠিত কমিটি থেকে বঞ্চিত।মরহুম আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর সহধর্মীনী শামছুন নাহার সোহরাওয়ার্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সহ নানা দলীয় পদবীতে দায়িত্ব পালন করেন।তবুও আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর পরিবার বঞ্চিত।
রাজারহাট কে নেতৃত্ব শুন্য করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে কুড়িগ্রামের কতিপয় নেতা। রাজারহাটে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠলে ভৌগোলিক অবস্থানের কারনে রাজারহাট হয়ে উঠবে অপ্রতিরোধ্য তাই তারা রাজারহাট কে নেতৃত্ব শুন্য করতে সব রকম চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। রাজারহাট কে নেতৃত্ব শুন্য করতে না পারলে তাদের নেতামী থাকবে না। যে কোন মুল্যে রাজারহাট কে নেতৃত্ব শুন্য করতে তারা বদ্ধপরিকর।
আর এ জন্য যে পরিবারটির মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু আওয়ামীলীগের দুর্দিনে দীর্ঘ ত্যাগ তিতাক্ষার মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ কে নেতৃত্ব দিলেন আজ তারা হলেন বিদ্রোহী আর যাদের পরিবার সরাসরি স্বাধীনতার বিরোধীতা করলো তারাই হলেন আওয়ামীলীগ। রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগ কে নেতৃত্ব শুন্য করতে নানা কৌশল অবলম্বন করেই যাচ্ছে। রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগ কে নেতৃত্ব শুন্য করতে হয়েছে দুটি কমিটি।
উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই দীর্ঘ ১০বছরের অধিক সময়ে, নেই কলেজ শাখায় কমিটি। সাত ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কমিটি থাকলেও নেই কোন কার্যক্রম। রাজারহাট উপজেলা যুবলীগ জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পীর তত্ত্বাবধায়নে একটি শক্তিশালী সংগঠনের রুপ নেয়। সেই সংগঠনটি কে ভাঙ্গতে মাঝখানেও করা হয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র। তাদের কিছু এজেন্ট এখানে এমনভাবে সিটিং করে রেখেছে, তাদের অর্থ ক্ষমতা সব কিছুই এই এজেন্টরা ব্যবহার করে বনে গেছেন লাখপতি থেকে কোটিপতি।
সংখ্যায় এরা অতি সামন্য হলেও এদের নেপথ্যে শক্তিদাতার কারনেই আজ আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর পরিবার কে করেছেন কোন ঠাসা। আর আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর পরিবার মানে রাজারহাট। যেমন বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ তেমনি আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী মানে রাজারহাট। যত ষড়যন্ত্র ও বঞ্চিত করেন নাহ কেন, বঙ্গবন্ধু কে যেমন বাংলাদেশ থেকে আলাদা করা যাবে না। তেমনি আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দীর পরিবারকেও রাজারহাটের জনগন থেকে আলাদা করা যাবে না। জনগন সঠিক সময়ে সঠিক জবাব দিবে।