ম্যাজিষ্ট্রেটের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউপি চেযারম্যান মোশারেফ হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। কাশিনগর আলীম মাদরাসায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিনা অনুমতিতে কেন্দ্রে প্রবেশ করে দায়িত্বরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের দায়ে ওই চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় থেকে বরখাস্তের বিষয়টি বুধবার এলাকায় জানাজানি হয়। গত ২২ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী বরখাস্তের ওই আদেশে স্বাক্ষর করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কাশিনগর আলীম মাদরাসা কেন্দ্রে জেডিসি পরীক্ষা-২০১৯ চলাকালে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন বিনা অনুমতিতে ওই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ সময় কেন্দ্রে দায়িত্বরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুর রহমান তাকে অনুমতি ছাড়া কেন্দ্রে প্রবেশে বাঁধা দেয়। এতে ওই চেয়ারম্যান ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।
বিষয়টি প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় বলে সরকার মনে করে। এতে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন কর্তৃক অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় নিয়ে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (১) ধারা অনুযায়ী তাকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুরোধক্রমে জনস্বার্থে জারী এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
অভিযুক্ত কাশিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘এটা আসলে ভুল বুঝাবুঝি। আমি ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি। আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টি নিরসনের চেষ্টা করবো’। স্থানীয় সরকার বিভাগ কুমিল্লার উপ-পরিচালক (ডিডিএলজি) মোহাম্মদ শওকত ওসমান জানান, ‘এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জেনেছি’।
এ বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছরে অনুষ্ঠিত জেডিসি পরীক্ষা চলাকালে বিনা অনুমতিতে কাশীনগর আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন। এভাবে তার কেন্দ্রে প্রবেশ বেআইনী জানালে তিনি আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে আমি জেলা প্রশাসকের নিকট রিপোর্ট করেছি’।