মেঘনায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা নিহত
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি, আবদুল মান্নান, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লা মেঘনায় স্থানীয় আধিপত্য ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মোঃ কামরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো অন্তত ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (২৯ শে জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার চালিভাঙ্গা বাগ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুল ইসলাম চালিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে ও চালিভাংগা ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে দাইয়ান নামে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মধ্যে সোহেল, মুরাদ ও হানিফা নামে তিনজকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও জেলা পরিষদের সদস্য মো. কাইয়ুম হোসেন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা-মামলা ও লুটপাটের অভিযোগ চলে আসছিলো। এরই মধ্যে কয়েকমাস আগে কাইয়ুম গ্রুপের হামলায় হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নিজাম সরকার নিহত হন। ওই ঘটনায় মামলার পর কাইয়ুম গ্রুপ দীর্ঘদিন গ্রামছাড়া ছিলো। সম্প্রতি নিজাম সরকার হত্যায় অভিযুক্ত আসামিরা আদালত থেকে জামিন লাভ করে নিজ বাড়িতে ফিরতে চাইলে গত ২৮জানুয়ারি তাদেরকে ধাওয়া দেয় হুমায়ূন চেয়ারম্যান গ্রুপের লোকজন। বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবগত করায় পরবর্তীতে রোববার রাত থেকে চালিভাঙ্গা বাজারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হয়।
সে সুবাদে সোমবার দুপুরে (২৯জানুয়ারি) কাইয়ূম গ্রুপের নলচর, ফরাজিকান্দি, চালিভাঙ্গার লোকজন যার যার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই টিটু সরকারের নেতৃত্বে হামলা করা হয় এবং পাল্টা হামলায় উভয় গ্রুপেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে কামরুল ইসলামসহ ৮/১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কামরুল ও দাইয়ানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে কামরুল মারা যায়। আহত দাইয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির জানান, আমি আজ বাড়িতে ছিলাম না। বিকাল ৪ টার দিকে গ্রামে এসে শুনি আমার ছোট ভাই টিটু কাইয়ুমের আব্বাকে লোকজন নিয়ে বাজারে ঘুরতে দেখলে গ্রামের সবাইকে ডেকে আনে। পরবর্তীতে কি হয়েছে জানিনা। হত্যাকারে বিষয়টি নিশ্চিত করে মেঘনা থানার ওসি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, একটি হত্যা মামলায় দীর্ঘদিন বাড়ি ছাড়া থেকে জামিন লাভের পর গ্রামে ফিরলে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে। হামলায় কামরুল ইসলাম নামে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। জড়িতেদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি এবং কেউ আটক বা গ্রেফতার নেই।