মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ছিলাম, আছি, থাকবো : পুলিশ সুপার
কুমিল্লা প্রতিনিধি, আব্দুল মান্নান, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কুমিল্লা নবাগত পুলিশ সুপার আসফিকুজ্জামান আকতার বলেছেন, এখানে যোগদানের পর দেখেছি, কয়েকটি থানা ও পুলিশ লাইন্সের কী অবস্থা হয়েছিল। আমরা সবকিছু গুছিয়ে ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। সাংবাদিক সহ সকল শ্রেণি পেশার লোকজন সহযোগিতা করছেন। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের কাজে কখনো সুফল আনা সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, গতানুগতিক পুলিশিংয়ের বাইরে গিয়েও আমরা নানা সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করে থাকি। কুমিল্লা সাম্প্রতিক বন্যায় জেলা পুলিশ মানবিতার সঙ্গে কাজ করেছে, এখনও করছে। এছাড়াও গত কয়েকদিনে তিনটি খুন ও অন্যান্য অপরাধের মোটিভ উদঘাটনে পুলিশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। শহরের যানজট নিরসনে যাতে কোন সমন্বয়হীনতা না থাকে এব্যাপারেও আমরা কাজ করছি। মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারেও জেলা পুলিশ কাজ করছে। আমি স্পস্ট করে বলে দিতে চাই মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে ছিলাম, আছি, থাকবো। আমি কুমিল্লাবাসীকে আশ্বস্থ করতে চাই, এখানকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে কাজ করবে।রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে হোমনার চা ল্যকর ট্রিপল মার্ডারের সঙ্গে জড়িত আসামি ও ঘটনার মোটিভ উদঘাটন বিষয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি কুমিল্লা পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর এখানকার সাংবাদিকদের সঙ্গেও প্রেসব্রিফিং শুরুর আগে পরিচিত হন। তিনি গত ২৯ আগষ্ট কুমিল্লায় পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, কুমিল্লা জেলার কয়েকটি থানা থেকে ৬৬টি অস্ত্র লুট হয়েছিল। এরমধ্যে ৪৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। লুন্ঠিত বাকি অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধারে এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ ও মাদক কারবারিদের গ্রেফতারে গণমাধ্যমসহ সচেতন কুমিল্লাবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মংনে থোয়াই মারমা উপস্থিত ছিলেন।