মহেশপুরে দপ্তরী কাম-নাইট গার্ড ধর্ষক বাবুর শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর মানব বন্ধন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ২৮ জুলাই, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা ৬নং নেপা ইউনিয়নের ৬৪নং সেজিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮ জুলাই সকালে বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণ এর পক্ষ থেকে দপ্তরী কাম-নাইট গার্ড ধর্ষক বাবুর শাস্তি ও বহিস্কারের দাবীতে এলাকার সুধী সমাজ ও অভিভাবকগণের মানব বন্ধন করেছে।
মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, লম্পট বাবু ১৮ তারিখ বুধবার স্কুল ছুটির পর মাইলবাড়ীয়া ও সেজিয়া গ্রামের ৫ম শ্রেণীর দুই ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করলে তারা চিৎকার করে পালিয়ে যায়। পরে ২১ তারিখ শনিবার ঐ দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ধর্ষক বাবুর ফোড়ার উপরে বিষ ফোড়া তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, আরো গত ২ মাস আগে একই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ইসমতারা-কে স্কুল ছুটির পরে ফুসলিয়ে বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী নিজ বাড়ীতে ধর্ষন করে, সেই কথাটি স্বীকার করেছেন ঐ শিক্ষার্থী। এ বিষয়টি শুনার পর সরজমিনে আমাদের প্রতিনিধি ধর্ষিতা ইসমতারার কাছে জানতে চাইলে সে আমাদেরকে বলে, গত ২ মাস আগে স্কুল ছুটির পর বাড়ি যাওয়ার সময় ধর্ষক বাবু আমাকে বলে প্রধান শিক্ষক আমাকে প্রশ্ন দিয়েছে।
একটু পরে একা এসে আমার কাছ থেকে বই গুলো দেগে নিয়ে যাবি। সবাই চলে যাওয়ার পরে আমি বই দাগার উদ্দেশ্য আসলে সে আমাকে তার বাড়ীতে নিয়ে মুখে গামছা দিয়ে ধর্ষন করে এবং সে আমাকে ছুরি দেখিয়ে বলে এই ঘটনা কাউকে বললে তোকে মেরে ফেলবো। এই কারনে ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলতে পারি নাই। যখন আমার ক্লাসের বান্ধবী নয়ন ও মারিয়া যখন অভিযোগ করে তখন আমি বিষয়টি বলতে সক্ষম হই।
উল্লেখ্য লম্পট বাবু সেজিয়া গ্রামের শফিউদ্দীন এর ছেলে। তাই এলাকাবাসীর দাবী ধর্ষক বাবুকে স্কুল থেকে বহিস্কার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হোক। তা না হলে আমাদের সন্তানদেরকে সেজিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনার জন্য পাঠাবো না।