ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কমিশন সবটাই করবে : খান মো. নুরুল হুদা
ঢাকা, ১৯ নভেম্বর, ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য যা যা দরকার কমিশন তাই করবে, বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খান মো. নুরুল হুদা । তিনি বলেন, ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে এবং সকল প্রার্থী যাতে সমানভাবে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। রসিক নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কমিশনকে আশ্বস্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সিইসি বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ১৮ প্লাটুন বিজিবিসহ সাড়ে ৩ হাজারের বেশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োগ দেয়া হবে।
এ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নিরাপত্তায় সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও গুরত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন নিরাপত্তা সদস্য থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩৩টি সাধারণ ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রতিটিতে পুলিশ, আনসার ভিডিপি, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ইসির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা পর্যায়ের প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বৈঠকে সেনা মোতায়েন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকেও কোনো প্রস্তাব আসেনি। তবে নির্বাচনকালীন কোনো কেন্দ্রে সহিংসতা হলে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকবে।
বিএনপির প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পারবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারো প্রত্যাশা পূরণ নয়, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবো, এ নিয়ে বিএনপির আশঙ্কার কিছু নেই। সম্প্রতি রংপুর শহরে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রভাব নির্বাচনে পড়বে না।সংখ্যালঘু ভোটাররা যাতে নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সব ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী এবং রংপুর শহরে দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাচন কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের বক্তব্য অনুযায়ী রংপুরের সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তারা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছেন না। তাদের ধারণা, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।