বেগমগঞ্জে ধর্ষণ মামলার বাদীকে হুমকি
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, লূৎফুল হায়দার চৌধুরী, ১১ জানুয়ারি, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে (২৩) ৯মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর মামলার প্রধান আসামী অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে মামলার আসামী সিরাজ বিভিন্ন অজ্ঞাতনামা লোকদের মাধ্যমে মামলার বাদীকে (ভিকটিম) হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে সিরাজুল ইসলাম’সহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামী করে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। যার নং ৩৮০। তাং ০৭.০১.২০২১ ইং।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১লা জানুয়ারি ২০২১ইং তারিখে উপজেলার একলাশপুর বাজারে বাড়ীর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য যায় মামলার বাদী। সেখানে ২/৩জন অজ্ঞাতনামা লোক এসে তার সাথে বিভিন্ন অজুহাতে কথা বলেন। তার মামলার খোঁজ খবর জানার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে মামলার প্রধান আসামী সিরাজুল ইসলাম জামিনে চলে এসেছে বলেও জানায় তারা। পরে লোক গুলো ভিকটিমকে বলেন, সিরাজুল ইসলামের টাকার কাছে তুমি কিছুইনা। আর তুমি বাহিরে চলাচল করতে সাবধানে করবা। সে তোমাকে যেখানে পাবে মারধর করবে। এমনকি তোমাকে প্রাণে মারারও আশংকা রয়েছে। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আমানতপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ উল্যাহর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলাম উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ওই যুবতীকে চাকরি দেওয়ার কথা ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ৮-৯মাস যাবত নোয়াখালী এবং ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও লম্পট সিরাজুল ইসলাম মেয়েটিকে কোন চাকরি বা বিয়ে করেনি। বিয়ের জন্য চাপ দিলে সিরাজুল ইসলাম নানা তালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে ধর্ষকের ছেলে মাহবুবুর রহমান ভয়ভীতি দেখিয়ে যুবতীর কাছ থেকে অলিখিত ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। ঘটনায় মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামী সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।