বিশ্বে প্রায় ২০ কোটি নারী যৌনাঙ্গ ছেঁদন বা খাতনার শিকারঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বিচিত্র ডেস্ক, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেয়েদের খাতনা, আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য হলেও আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও আমাদেরই এশিয়ার কিছু দেশে এর প্রচলন বেশ রয়েছে । মূলত মুসলিমরা পুরুষদের খাতনা করাসহ আল্লাহর নবী ও মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর সুন্নাত হিসেবে বেশ কয়েকটি সুন্নাত পালন করে থাকে। কোনো কোনো মুসলিম দেশে একে (সুন্নতে খাতনা বা মুসলমানি) বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ২০ কোটি নারী যৌনাঙ্গ ছেঁদন বা খাতনার শিকার হয়েছে, যাহা এখনো অব্যাহত, ওই সব নারীরা চরম যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে। সোমাল্যান্ডে ৯৫ শতাংশ নারী খাতনার শিকার হয়েছে। তারা পিরিয়ড ও সন্তান প্রসবকালীন মারাত্মক ব্যথায় ভোগেন। শুধু তাই নয় অনেকেই ইনফেকশনের শিকার হয়ে বেঁচে থেকেও মৃত ব্যাক্তির ন্যায়।
এইচডাব্লিও জানিয়েছে, বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে মেয়েদের খাতনা করানো হয়, এর ভয়াবহতা আরো বাড়ছে, এই বিভৎস প্রথা চালু রয়েছে শুধু মুসলিমদের মধ্যে নয় রয়েছে খ্রিস্টানদের মধ্যেও। সোজিল্যান্ড ছাড়াও আফ্রিকার দেশ সুদান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, চাদ, বুরকিনা ফাসো, সেনেগাল, মিসরসহ আরো মধ্যপ্রাচ্যে ও এশিয়ার কোথাও কোথাও FGM এর চর্চা রয়েছে। শুধু আফ্রিকাতেই প্রতি বছরে তিরিশ লক্ষ মেয়েকে এই নারকীয় প্রথার শিকার হতে হয়। মুসলিম আলেমরা দাবি করেন, এই প্রথার সঙ্গে ইসলামের কোনও সম্পর্ক নেই। এই প্রক্রিয়ায় মেয়েদের মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে ৫৫ শতাংশ। শুধু অফ্রিকার বা এশিয়াতেই নয় ব্রিটেন ও আমেরিকাতেও রয়েছে মেয়েদের খতনা দেয়ার প্রথা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর ভয়াবহতা যুক্তরাষ্ট্রেও বেড়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে অফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীরা এর প্রথার প্রাচালন ঘটাচ্ছে।
ব্রিটিশ দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথাটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও ব্রিটেনের মুসলমানরা গোপনে এর চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৯ সালের সংবাদমাধ্যমদের খবর অনুযায়ী, প্রতি বছর পাঁচশোরও বেশি মেয়েকে খতনা দেয়া হয়েছে। অথচ এ বছরে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার। উল্লেখ্য, মুসলিমরা পুরুষদের খাতনা করাসহ আল্লাহর নবী ও মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর সুন্নাত হিসেবে বেশ কয়েকটি সুন্নাত পালন করে থাকে।