বিএনপির আইনজীবীদের আদালত অবমাননা মামলা থেকে অব্যাহতি, অভিযোগকারীর ১ লাখ টাকা কস্ট
বিএনপির সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগকারী ও তাদের আইনজীবী আদালতে পরপর উপস্থিত না হওয়ায় এডভোকেট অন রেকর্ড আজ বিষয়টি নন প্রসিকিউশনের আবেদন করেন। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ সাত আইনজীবীকে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দিয়ে অভিযোগকারীকে ১ লাখ টাকা কস্ট করে আদেশ দেন। আদালতে সাত আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।
আদালত অবমানার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক এটর্নি জেনারেল প্রয়াত এ জে মোহাম্মদ আলী, ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও ফোরামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি এডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান।
এর আগে গত ১২ জুন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সুপ্রিমকোর্টের দুজন বিচারপতি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে এই সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২৯ আগস্ট আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন করা হয়। আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা। শুনানি নিয়ে গতছর ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগ আদেশ দেন। সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের সূত্র ধরে আদালত অবমাননার আবেদনে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে নিজেদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে এই সাত আইনজীবীকে ১৫ জানুয়ারি সকাল ৯টায় আপিল বিভাগে (১ নম্বর কোর্টে) হাজির হতে নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। ধার্য তারিখে তারা আদালতে হাজির হন।
আদালত অবমাননার আবেদনে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে গত বছরের ২৭ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করা হয়। বিচারপতিদের নিয়ে ব্যানার-লিফলেটসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল-অবস্থানের ছবিও আবেদনে যুক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে আপিল বিভাগ থেকে পদত্যাগ করা ওই দুই বিচারপতি বিচারক থাকাবস্থায় রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন এবং তারা শপথ ভঙ্গ করেছেন এমন দাবি জানিয়ে তাদের পদত্যাগ দাবি করে ওইসময় বিভিন্ন আইনজীবী সংগঠন সভা-সমাবেশ করেছিলেন।