বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি
নোয়াখালী প্রতিনিধি, বিধান ভৌমিক, ২৩ মে ২০২৩ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ২৩ মে নোবিপ্রবির আইকিউএসি সেমিনার রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘আজকের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত হন। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সারাটি জীবন তিনি জেল-জুলুম সহ্য করেছেন। বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনে কখনোই সংঘাত চাননি। নিজে কষ্ট করলেও সারাটা জীবন তিনি এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের শান্তির জন্য আত্মোৎসর্গ করে গেছেন। একজন বিশ্ব নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে শান্তিতে এ পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। জুলিও কুরি পদক বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের অন্যতম একজন নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান তা নিয়ে আজীবন বাঙালি জাতি অহংকার করবে। সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’।
সভাপতির বক্তব্যে নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে বঙ্গবন্ধু হাত দেননি। এ দেশের প্রথম বীজগুলো বঙ্গবন্ধুই বুনে গিয়েছিলেন। রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এখন আমরা দেখি তা বঙ্গবন্ধুই সৃষ্টি করে গেছেন। জাতির পিতার জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আগত সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নোবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে বিশ্ব শান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শান্তিতে জুলিও কুরি পদকে ভূষিত করা হয়। জাতির পিতা সারা জীবনের দর্শনই ছিল শান্তি প্রতিষ্ঠা। একটি স্বাধীন ভূ-খন্ডের জন্ম এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুকে এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। ফলে বঙ্গবন্ধু আর শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয়, তখন তিনি সারা বিশ্বের বিশ্ববন্ধুতে পরিনত হন। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতার কন্যাকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব। সবশেষে আমি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি একই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, নোবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।