বগুড়ায় জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা, টানটান উত্তেজনা
বগুড়া প্রতিনিধি, এম নজরুল ইসলাম, ৪ মার্চ, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে জাপার দলীয় কার্যালয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এঘটনা ঘটে। এনিয়ে জাপা নেতাকর্মীদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা দেখা গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, হত্যা মামলায় সদ্য কারামুক্ত আদমদীঘি উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস হাসান সুমনকে সংবধর্না দিতে পার্টি অফিসে শনিবার সকাল থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। দুপুরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করে জাপা নেতাকর্মীরা। পার্টি অফিসে তৃনমুলের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করছিল। এসময় হঠাতই ধর-ধর চিৎকার করে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রসহ জাপার পার্টি অফিসে প্রবেশ করে শ্রমিকলীগের নেতাকর্মী। এরপর জাতীয় পার্টি ও শ্রমিকলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আশপাশের সকল দোকানপাট বন্ধ করে সাধারন মানুষ ছোটাছুটি শুরু করে।
পরে শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলা ও ধাওয়া খেয়ে পার্টি অফিস থেকে সটকে পড়েন সদ্য কারামুক্ত জাপানেতা ফেরদৌস হাসান সুমনসহ উপস্থিত শতশত নেতাকর্মী। খবর পেয়ে আদমদীঘি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়। পরে সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির উপজেলা পার্টি অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিলসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা। তবে এঘটনায় কেউ আহত হননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আদমদীঘি থানার ওসি আবু সায়িদ মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জাপানেতার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শ্রমিক সংগঠনের হামলায় পন্ড হয়েছে। ঘটনাস্থল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, আদমদীঘির সান্তাহারে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত চার্জার মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ৮জানুয়ারী দু‘টি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় সান্তাহার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেন সোহাগ নিহত হন।
সে ঘটনায় জাতীয় পার্টির সভাপতি মিলন হোসেন ও সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস হাসান সুমনসহ অর্ধ শতাধিক আসামী করে আদমদীঘি থানায় পৃথক দু‘টি হত্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলায় সম্প্রতি জাতীয় পাটির সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস হাসান সুমন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।