বগুড়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ, আটক ২
বগুড়া প্রতিনিধি, এম নজরুল ইসলাম, ০৩ এপ্রিল ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : বগুড়ার শেরপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ করলো তিন যুবক। এরমধ্যে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নাকুয়া গ্রামে অবস্থিত নাকুয়া দাখিল মাদ্রাসার একটি কক্ষে ঘটনাটি ঘটানো হয়।
আটকৃতরা হলেন, জেলার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের চর খাদুলী গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে মো. সোহাগ (২০) ও একই এলাকার ভাদাইলহাটা গ্রামের স্কুল শিক্ষক শাজাহান আলীর ছেলে মো. স্বপন শেখ (২১)। সোমবার সন্ধ্যায় শেরপুর ও ধুনট থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করে।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ের সঙ্গে মোবাইলফোনের মাধ্যমে রংপুর জেলা সদরের খটখটিয়া গ্রামের শামীম আহমদের পরিচয় ঘটে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই সূত্রধরে গত ২৬মার্চ উভয়ই শেরপুর শহরে আসেন।
সেখান থেকে উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নাকুয়া গ্রামে বেড়াতে যায়। পরে নাকুয়া দাখিল মাদ্রাসার একটি কক্ষে বসে কথা বলছিলেন তারা। এসময় নাকুয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আকুল মিয়া এবং পুলিশের অভিযানে আটক হওয়া স্বপন ও সোহাগ নামে তিন যুবক সেখানে যান এবং তাদের আটক করেন।
এরপর সেখানে আটকে রেখে প্রেমিকযুগলের কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। কিন্তু তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লম্পট যুবকরা তাদের মারধরও করেন। এমনকি প্রেমিক শামীমকে বেঁধে রেখে ওই তিন যুবক এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
ওসি তদন্ত বুলবুল ইসলাম আরও বলেন, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তদের নানা হুমকি-ধামকির কারনে আইনের আশ্রয় না নিয়ে ঢাকায় চলে যায় ভুক্তভোগী প্রেমিকযুগল। কিন্তু সোমবার (২এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে গত রোববার (১ এপ্রিল) বাড়িতে এসে পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানায়। মূলত এরপরই ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
সোমবার (০২এপ্রিল) দুপুরে ভুক্তভোগী ওই পরীক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে ওই তিন যুবককে অভিযুক্ত করে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশি অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে দুই যুবককে আটক করা সম্ভব হলেও পুলিশের উপস্থিতি আঁচ করতে নাকুয়া গ্রামের আকুল মিয়া পালিয়ে যায়। তবে তাকে ধরতেও পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অপর একপ্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মেয়েটি চান্দাইকো ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী। সে রায়গঞ্জ উপজেলার লীকোলা ডিগ্রী কলেজে কেন্দ্রে সোমবার এইচএসসি পরীক্ষার প্রথমদিনে অংশ নেয়।