ফরিদগঞ্জ প্রার্থীর শোডাউনে হামলা, আহত-১৬
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি, ইব্রাহিম আলম সবুজ, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আগামী ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী মটর সাইকেল শোডাউনে হামলা, উভয় পক্ষের আহত ১২, প্রায় ঘন্টা বাদে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে। ২৮ ডিসেম্ভর মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬ নং রুপসা (দঃ) উইনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ইউনিয়নের সদ্য বহিস্কৃত সহ সভাপতি আব্দুল কাদের খোকন অন্তত ২শত মটর সাইকেল নিয়ে তার আনারস মার্কার সমর্থনে শোডাউন করার সময় নৌকা মার্কার প্রার্থী শরিফ খানের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা করে অন্তত ২০জনকে আহত এবং ২০টি মটর সাইকেল ভাংচুর করে। হামলাকরীদের অধিকাংশই ছিল বহিরাগত এবং অন্যান্য ইউনিয়নের। আহতরা ফরিদগঞ্জ, রায়পুর এবং লক্ষিপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছে।
সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মটর সাউকেল শোভাযাত্রার অন্তত ৫মিনিটের মধ্যে ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া বাজারে নৌকার সমর্থক এবং কর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় সকলের হাতে লোহার পাইপ, লম্বা দা, ধারালো অস্ত্রসস্ত্র দেখা যায়। ঘটনার সাথে সাথে থানায় জানানো হলেও পুলিশ আসতে অন্তত ৪৫মিনিট দেরী করে।
আব্দুল কাদের খোকন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অভিযোগ করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ন শোভাযাত্রা করছিলাম কিন্তু ৫ মিনিটের মধ্যে গৃদকালিন্দিয়া বাজারে উপস্থিত হলে আমর শোভাযাত্রায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমার সমর্থক, কর্মীদের পিটিয়ে আহত করে, একই সাথে শোভাযাত্রার ২০টি মটর সাইকেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ভাংচুর করে। আমি বারবার আইনগত সহায়তা চাইলেও তা কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারনে উপেক্ষিত হচ্ছে। ১৬ নং ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী বিএনপির পরিবারের লোক। তার ভাই ও যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আমাদের প্রতিবেশী ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এদের বিরুদ্ধে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিলেও তা কনে নিচ্ছে না ফরিদগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন।
অন্যদিকে নৌকা মার্কার প্রার্থী শরিফ খান বলেন, আমরা আমাদের মার্কার সমর্থনে গৃদকালিন্দিয়া বাজারে প্রচার করছিলাম কলেজ মাঠ থেকে রাস্তায় উঠলে আমাদের সাথে খারাপ আচরন করলে আমরা তা প্রতিহত করার চেষ্টা করি মাত্র।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন আহমেদ বলে, আমর নেতৃত্বেউপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রিমন মেহেদী, ইমাম হাসান, পৌর ছাত্রলীগের হৃদয় গাজী, কলেজ ছাত্রলীগের সৈকত মিজি ও ১৬নং ছাত্রলীগের সা. সম্পাদকমাহাবুব আলম বাবুসহ অনেকেই নিতীগতভাবে নৌকার সমর্থনে ১৬নং ইউনিয়নে যাই দলীয় মার্কার প্রচারের জন্যএবং প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে তাদের সাতে অংশ গ্রহন করি।
শিক্ষা কমপ্লেক্স থেকে বাজারের রাস্তায় উঠলে আনারস সমর্থীত লোকেরা আমদের মিছিলে মটর সাইকেল উঠিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে আমরা বিবাদ এবং মারামারিতে জড়িয়ে পড়ি। আমাদের ছাত্রলীগের হৃদয় গাজী ও সজিবসহ অন্তত চারজন আহত হয়। কে কার মটর সাইকেল ভাংচুর করেছে তা জানি না। আমরা শুধু আমাদের নেতা খাজে আহম্মদ মজুমদারের নির্দেশে এবং উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক আবুসুফিয়ানের সহযোগিতা আনারসের সমর্থকদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদ হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। মারামারির ঘটনাস্থল আঞ্চলিক মহাসড়ক হওয়াতে দির্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় আমরা পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আনি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।