ফরিদগঞ্জে প্রভাবশালী দুর্বৃত্তের হাত থেকে মালিকানাধীন সম্পত্তি রক্ষার্থে সংবাদ সম্মেলন
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি, কামরুজ্জামান, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : জমি কিনে ভূমি খেকোর আক্রোশের শিকার হয়েছেন খরিদা মালিক। পালিয়ে বেড়িয়েছেন প্রায় ২০ বছর যাবত। নির্যাতন আর প্রাননাশের হুমকি ধমকির এক পর্যায়ে বোরখা পড়ে রাতের অন্ধকারে এলাকাছাড়া হতে হয়েছে। ভয়ে বাংলাদেশের ব্যবসা বানিজ্য রেখে বিদেশে গিয়ে ছিলেন কিছু দিন। জমির দখল নিতে তিনি ঘুরেছেন নানা জনের দ্বারে দ্বারে। জমির দখল রাখতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হচ্ছেন। পাচ্ছেন না সুবিচার। ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব-এ গতকাল সোমবার দুপুরে এমনই অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জমির মালিকানা দাবীদার আবদুল ছাত্তার। ঘটনা উপজেলার ১৪ নং ফরিদগঞ্জ (দক্ষিণ) ইউনিয়নের হর্ণি দূর্গাপুর গ্রামের।
লিখিত বক্তব্যে আবদুল ছাত্তার বলেছেন, গ্রামের নূর মোহাম্মদ বেপারী পৈত্রিক সূত্রে সম্পত্তির মালিক ছিলেন। তিনি ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে ২৯৭২ নং দলিলমূলে স্ত্রী বেলায়েতেরনেছাকে ওই জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। বেলায়েতের নেছার নামে জমির বিএস রেকর্ড হয়। ২০০০ সালে বেলাযেতেরনেছার কাছ থেকে খরিদমুলে সাবকবলা দলিলের মাধ্যমে আমি ১০ শতাংশ জমির মালিকানা গ্রহণ ও ভোগ দখলকার হই। দলিল নং ৩৮৩৫, ২০এ এপ্রিল ২০০০ খ্রিঃ।
কিন্তু, বিএনপি জামাতের দুঃশাসনের আমলে তখনকার বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও ১৪ নং ফরিদগঞ্জ দঃ ইউনিয়নের তখনকার চেয়ারম্যান, এলাকার সন্ত্রাসী ও নানান অনৈতিক কাজের হোতা মোঃ আজিজুর রহমান ওই জমির মালিকানা দাবী করেন। আজিজুর রহামন দাবী করেন, ১৯৯৪ সালে তিনি বেলায়েতেরনেছার স্বামী নুর মোহাম্মদ এর কাছ থেকে ওই জমির সাবকবলা দলিল সৃজন করেছেন। যার কোন বৈধতা নেই। কারণ, জমির মালিক নুর মোহাম্মদ স্ত্রী বেলায়েতের নেছাকে ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে ২৯৭২ নং দলিলে দেয় মালিকানা এখনও বিদ্যমান।
ফলে, বেলায়েতের নেছার কাছ থেকে সাব-কবলা দলিল মূলে আমি এখন প্রকৃত মালিক। এলাকার শালিস ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ মোঃ আজিজুর রহমান এর কাছে জানতে চেয়েছেন স্ত্রী বেলায়েতের নেছার নামে দানপত্র দলিল অবৈধ কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বারংবার সময় চেয়ে কোনো জবাব দেননি।
আবদুল ছাত্তার বলেন, ১৬ই জানুয়ারি সকালে জমিতে কাজ করতে গেলে আজিজুর রহমান দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা করে ও আমার দোকানের আংশিক দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, জমির মালিকানা দাবী করলে আমাকে জীবনে খুন করে ফেলবেন। আমি এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমাকে তিনি যে কোনো সময়ে বড় রকমের ক্ষতি করতে পারে। আমি আইনশৃংখলা বাহিনীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করছি।
এ ব্যপারে থানায় মৌখিক অভিযোগের কথা স্বীকার করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদ হোসেন বলেন, উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজাদী নিয়ে হাজিরের জন্য বলা হলেও আজিজুর রহমান উপস্থিত হয়নি।