ফরিদগঞ্জে পত্রিকা এজেন্ট তাজুল ইসলামের ছেলের ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে বাবার স্মৃতিচারন

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি, কামরুজ্জামান, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : কথায় বলে পৃথিবীতে সবচাইতে ভারী বোঝা হচ্ছে পিতার ঘাড়ে পুত্রের লাশ! যার অন্তর্নিহিত অর্থ এই যে পিতামাতার জন্য সন্তান হারাবার চাইতে বড় কষ্ট আর কিছু হতে পারে না। মৃত্যু… জগতের সবচাইতে নিশ্চিত ব্যাপার। মৃত্যু আসবেই, ঠেকানো যাবেনা কোন কিছুতে-ই। পৃথিবীর কোনও জীবিত প্রাণীর সাধ্য নেই মৃত্যুকে এড়িয়ে যাবার। জন্ম নিলে একটা না একটা সময় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হবেই- সৃষ্টিকর্তার অবধারিত নিয়ম! তবুও কোনও বাবা মা সন্তানের মৃত্যু ভাবনাকে মনে স্থান দেন না, কখনো চিন্তাও করেন না এই একটি ব্যাপার নিয়ে।

কিন্তু সন্তানেরা পৃথীবিতে না থাকলেও বাবা-মায়ের চোখের সামনে থেকে হারায় না, আমাদের ঘর-জীবন আলোকিত করে রাখা প্রজাপতিরা জীবনের কোনও এক নিষ্ঠুর পরিহাসে সব ছেড়ে চলে যায় মৃত্যুলোকের ওপারে। চলে যায় আপনজনদের শোকের অন্ধকারে হারিয়ে রেখে। যেমনি ভাবে ২০২০ সালে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে বাবা-মা, এক ভাই ও ১ বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন বন্ধু-বান্ধব রেখে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে আমার ঘর আলোকিত করে আসা মেধাবী পুত্র মো. এমরান হোসেন পাবেল। আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার পাবেলের ২য় মৃত্যুবাষির্কী।

চরমান্দারী শহীদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফরিদগঞ্জ এ.আর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজ ও সব শেষে ঢাকা জগন্নাত বিশ্ব বিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগে পড়ুয়া এমরান হোসেন পাবেল শিক্ষা জীবনের সব গুলো ধাপ পার করেছে মেধার স্বাক্ষর রেখে। তার অধ্যয়নরত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সহপাঠিরা সবাই যেমনি ভাবে পাবেলের পড়ালেখার প্রশংসা করতেন, তেমনি ভাবে সবার আদর স্নেহ আর ভালোবাসার মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠা আমার পরিবারের বড় ছেলে এমরান হোসেন পাবেলকে নিয়ে দু’চোখ ভরা স্বপ্ন ছিলো আমার।

এমরান হোসেন পাবেল আরো অনেক বড় হবে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরবে। সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদের সবাইকে বিদায় জানিয়ে এমরান হোসেন পাবেল আজ পরপারে। আল্লাহ মহান আমার এমরান হোসেন পাবেলকে জান্নাতের উচুঁ মাকাম দান করুন। প্রিয় পাঠক, আপনাদের সকলের কাছে আমার এমরান হোসেন পাবেলের জন্য দোয়া কামনা করি। * মাওলানা মো.তাজুল ইসলাম। পরিচালক ম্যাগাজিন হাউজ, ফরিদগঞ্জ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *