প্রতিহিংসার রায়, ভয়ঙ্করভাবে নীলনকশা করেছে সরকার-বগুড়া বিএনপি
বগুড়া প্রতিনিধি, এম নজরুল ইসলাম, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪): বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভুমি ও বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত বগুড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। অন্যদিকে, বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি নেতা শূন্য হয়ে পড়েছে।
খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পুলিশের গ্রেফতার অভিযানে গত ৩ দিনে জেলার ১২ উপজেলায় ২ শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদন্ডাদেশ দেয়ার পরপরই গনমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন বগুড়া জেলা বিএনপি সহ সভাপতি এ্যাড রাফী পান্না।
তিনি অভিযোগ করেন, রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই সরকারের চক্রান্তের অংশ হিসেবে এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে সাজা দেয়া হয়েছে। এ রায় চাকরি ধরে রাখার জন্য করা হয়েছে। যাদের জন্য চাকরি বেঁচে থাকবে তাদের পছন্দমত রায় দেয়া হয়েছে।
তারা বলেন, এ রায় প্রতিহিংসার রায়। ভয়ঙ্করভাবে নীলনকশা করেছে সরকার। খালেদা জিয়া থাকলে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা থাকবে। এ কারণেই তার প্রতি প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এ রায় দেওয়া। অসাধারণ ধীশক্তি, জনগণের প্রতি ভালোবাসা এবং অঙ্গীকারে অনন্য প্রত্যয় দীপ্ত একজন মানুষ খালেদা জিয়া।
বগুড়া জেলা বিএনপি সহ সভাপতি এ্যাড রাফী পান্না বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জনপ্রিয় নেত্রী, বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় এই অবৈধ অনির্বাচিত আওয়ামী সরকার। তারা জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহন ঠেকানোর জন্য ভয়ঙ্করভাবে নীলনকশা করেছে।
বেগম খালেদা জিয়া থাকলে সার্বভৌমত্ব থাকেব, গণতন্ত্র থাকবে। মাটি, মানুষ, মৃত্তিকার সঙ্গে জড়িত এক অনন্য নেত্রী খালেদা জিয়া। পৃথিবীর কোনও এমন নজির নেই যে, স্বামী হারা, সন্তান হারা এবং সন্তানের মমতা বঞ্চিত কোনও নেত্রীকে এমন সাজা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বয়স ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
তারেক রহমানসহ ৫ জনকে ১০ বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই রায় দেন।
এর মধ্যে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন। গত ২৫ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ মোট ৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার রায়ে সন্তুষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবিরা।