নোয়াখালী সুধারামের সম্পতি বিরোধের জের ধরে থানায় অভিযোগ
নোয়াখালী প্রতিনিধি, লূৎফুল হায়দার চৌধুরৗ, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ (বিডি ক্রাইম নিউজ ২৪) : নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার সোনাপুরের মতিপুরে সম্পতি বিরোধের জের ধরে থানায় অভিযোগ। জানা যায়, সদর উপজেলাধীন নোয়াখালী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মতিপুর মৌজার জিলা জরিপি ১২৯ নং দিয়ারা ও ১৫৭ নং খতিয়ানের সম্পতি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে সুধারাম থানায় মোঃ আমান উল্যা একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের পেক্ষিতে সুধারাম থানা উভয় পক্ষকে নির্দেশনা দেন বিরোধপূর্ণ সম্পতিতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কেউ কোন স্থাপনা নির্মান করতে পারবে না। অন্য দিকে স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হয় । তারই অলোকে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর নির্দেশে আওয়ামীলীগ নেতা খালেদ মজ্ঞু উভয় পক্ষ থেকে কাগজ পত্র এবং তাদের মনোনীত শালিশদার নিয়ে একটি রায় প্রদান করেন ।
এতে নুরনবী বিভিন্ন তাল বাহানা করেন । গত ৮ ডিসেম্বর নুরনবী গংরা বিরোধপূর্ণ সম্পতিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে আমান উল্যাহ গংরা বাধা প্রদান করেন এবং থানায় আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের আলোকে সুধারাম থানায় এস আই ওমর ফারুক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে আসেন এবং ঝামেলা না করে উভয় পক্ষকে আদালতের মাধ্যমে সমাধান করতে বলেন।
এ ব্যাপারে আমান উল্যাহ বলেন, আমাদের এ সম্পতি জবর-দখলের চেষ্টা চালায় আমাদের প্রতিবেশী নুরনবী গংরা। তারা থানার বিচার মানে না স্থানীয় শালিশদারের বিচার মানেনা, তারা লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে আমাদের মালিকীয় সম্পতি জবর-দখলের চেষ্টা করছে, আমি রুহুল আমিন, নুরনবী ও রাশেদর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। আমার কয়েকটি পিলার তারা ফেলে দেয় ও আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে শালিশদার ও আওয়ামীলীগ নেতা খালেদ মঞ্জু বলেন, সংসদ সদস্য একরামুল চৌধুরীর নির্দেশে উভয় পক্ষ থেকে কাগজ পত্র এবং তাদের মনোনীত শালিশদার নিয়ে একটি রায় প্রদান করি, তারা এই রায় না মানলে আদালতে যেতে পারে, কিন্তু আইন শৃঙ্খলা নষ্ট করে কিছু করতে পারেনা।
এ ব্যপারে সুধাধাম থানার এস আই ওমর ফারুক বলেন, অভিযোগের আলোকে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং উভয় পক্ষকে আদালতের মাধ্যমে সমাধানের কথা বলেছি।